শরীরে ভিটামিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে যে সমস্যা হতে পারে
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২৩, ০৩:২৫
ভিটামিন এবং খনিজ আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের নানা ধরনের কাজ এবং কোষের স্বাভাবিক কার্যকারিতা, বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রয়োজন এসব ভিটামিন। আমরা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য থেকে ভিটামিন পাই। কিন্তু পুষ্টির ঘাটতি হলে পরিপূরক বা বাড়তি ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে। ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে এবং শরীরের জন্য প্রয়োজন। কিন্তু অত্যাধিক ভিটামিন শরীরে থাকলে ‘হাইপারভিটামিনোসিস বা ভিটামিন বিষাক্ততা’রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন>>> এক নজরে দেখে নিন বাদামের গুণাগুণ
হাইপারভিটামিনোসিস বা ভিটামিন বিষাক্ততা কি?
যখন ভিটামিনের সঞ্চয়ের মাত্রা শরীরে অস্বাভাবিকভাবে বেশি হয় তখন এই রোগের সৃষ্টি হয়। এর ফলে শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেয় এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। ভিটামিন- এ, ডি, ই বা কে-এর মতো অত্যাধিক চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিনের উপস্থিতির কারণে হাইপারভিটামিনোসিস দেখা দেয়। কারণ এগুলো প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যেতে পারে না। হাইপারভিটামিনোসিসের ধরনের ওপর নির্ভর করে মানুষ নিজেদের শরীরে নানা লক্ষণ অনুভব করে। বেশিরভাগ উপসর্গগুলো ভিটামিন এ এবং ডি-এর অতিরিক্ত পরিমাণের সাথে সম্পর্কিত।
ভিটামিন এ : শরীরে ভিটামিন এ বেড়ে গেলে মাথা ব্যথা, পেশি ও ঘাড়ে ব্যথা, বমির লক্ষণ দেখা যায়।
ভিটামিন ডি : ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বাড়লে মানসিক অবসাদ, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, ঝিমুনির লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ই : ভিটামিন ই-এর পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কোথাও কেটে গেলে রক্ত সহজে বন্ধ হয় না, সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় ।
ভিটামিন কে: ভিটামিন কে বেড়ে গেলে রক্তশূন্যতা এবং জন্ডিস হতে পারে।
ভিটামিন গ্রহণ হ্রাস করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে নিঃসরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। এছাড়া হাইপারভিটামিনোসিসের ধরন অনুসারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা ওষুধ ও থেরাপির প্রয়োজন হয়। তাই এমন লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে যাবেন না।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।