শীতের মৌসুমে ভ্রমণের জন্য ৫ জায়গা

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৩০

শীতের মৌসুমে ভ্রমণের জন্য ৫ জায়গা

বালুময় মরুভূমি আর বরফ ছারা প্রায় প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যই রয়েছে সবুজে ঘেরা বাংলাদেশে। প্রকৃতির এই সৌন্দর্যগুলো ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সাজে আমাদের কাছে উপস্থিত হয়। শীতকাল হচ্ছে ভ্রমণের জন্য সঠিক ঋতু। এই শীতে দেশের এত সব পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে কোনটিতে যাবেন সেটি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় রয়েছেন। তাহলে চলুন দেখে নেই শীতে ভ্রমণের জন্য সেরা ৫টি জায়গা-

সাজেক ভ্যালি:

রাঙ্গামাটির ছাদ খ্যাত সাজেক ভ্যালি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। বর্তমান সময়ে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি স্থান এটি। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি একই দিনে প্রকৃতির তিন ধরনের রূপের সান্নিধ্যে পাওয়া যাবে এখানেই। কখনো খুব গরম অনুভূত আবার হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া কিংবা চোখের পলকেই মেঘের ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার মত অনুভূতি হবে আপনার। রাঙামাটি জেলায় সাজেক অবস্থিত হলেও ভৌগলিক কারণে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থেকে যাতায়াত অনেক সহজ। চারপাশে রয়েছে মনোরম সব পাহাড়ের সারি প্রাকৃতিক নিসর্গ আর তুলোর মত মেঘের পাহাড়।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত:

শীতের সময়ে ঘুরতে যাওয়ার অসাধারণ একটি স্থান কক্সবাজার। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এটি। যা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচয়ের এক অন্যতম ধারক। সামুদ্রিক আবহাওয়ার কারণে ঠাণ্ডায় তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে কক্সবাজারে। শীতের সময়টাতে সমুদ্রের পাড়ে বছরের অন্য সময়গুলো থেকে সবচেয়ে ব্যস্ত দেখা যায়। মেরিন ড্রাইভের সুবিশাল রাস্তা কক্সবাজারে যোগ করেছে ভ্রমণের বাড়তি আকর্ষণ। লাবনী ও সুগন্ধা সমুদ্র সৈকত ছাড়াও রয়েছে হিমছড়ি, ইনানি, শামলাপুর ও হাজামপাড়া।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ:

শীতকালে ভ্রমণের জন্য একটি জায়গা হচ্ছে সেন্টমর্টিন। যা দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। সমুদ্রের কোলে সেন্টমার্টিনের অবস্থান। স্থানীয়ভাবে এটিকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও বলা হয়ে থাকে। শীতকালে ভ্রমণের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা ও সমুদ্রপথ ভালো থাকায় প্রতি বছরই লাখ লাখ মানুষ সেখানে যান। মাত্র ১৬ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটি যেন নীল রঙের সমারোহে ভরপুর। সারি সারি নারিকেলের গাছ, নীল আকাশের দিগন্তে নীল জলরাশির মিশেল আর প্রবাল পাথরে যেন মনোমুগ্ধকর এক স্থান। দ্বীপটি জুড়ে রয়েছে জেলেপাড়া, শুটকিপাড়া ও এলাকার নানা দিনযাপনের দৃশ্য।

শ্রীমঙ্গল:

চায়ের শহর শ্রীমঙ্গল। সিলেটের পানিবেষ্টিত জায়গাগুলো তেমন আকর্ষণীয় না হলেও ভ্রমণের জন্য দারুণ একটি জায়গা। শীতের হিমেল হাওয়ার সাথে চা বাগানের বাংলোতে গরম চায়ের পেয়ালা হাতে বসে থাকা আপনার মাঝে ভিন্ন এক অনুভূতির সঞ্চার করবে। বাইক্কা বিলের পাখির অভয়াশ্রম কিংবা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে জীববৈচিত্র যেন আপনার দৃষ্টির ক্ষুধা পরিপূর্ণভাবে মিটিয়ে দিবে।

বাগেরহাট:

বঙ্গালার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে বাগেরহাটে অবস্থিত ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, জিন্দাপীর মসজিদ, সিংরা মসজিদ, রণবিজয়পুর মসজিদ, চুনাখোলা মসজিদ এবং হজরত খান জাহান আলীর সমাধিসৌধ রয়েছে। প্রাচীন ইতিহাসের পাশাপাশি এসব মসজিদের নির্মাণশৈলী মনকে অভিভূত করে।

এনএফ৭১/এমএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top