শীতকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা

নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৩০

শীতকালে মধু খাওয়ার উপকারিতা

এখন শীতকাল। সরিষা ফুলে ঢেকে গেছে গ্রামাঞ্চল। এসব ফুলে উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছি। পেশাদার মধু চাষিরাও বসে নেই। পোষা মৌমাছির দল নিয়ে তারাও মধু সংগ্রহের জন্য ছুটছেন ফুলের কাছে। এই শীতে শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত মধু সেবন করতে পারেন। কারণ মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন 

সর্দি-কাশিতে: শীতে সর্দি-কাশিতে ভোগা যেন একটি সাধারণ সমস্যা। সর্দি-কাশি থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু ও ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে সেবন করুন। এ ছাড়া বাসক পাতার রসের সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও সর্দি-কাশি সেরে যায়।

গলার স্বর ভাঙ্গা: শীতকালে গলার স্বর ভেঙ্গে যায় অনেকের। এই সমস্যায় প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন। উপকার পাবেন।

পাকস্থলীর সমস্যায়: যারা পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগছেন তারা এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করতে পারেন। এতে পাকস্থলীর সমস্যা দূর হয়।

শক্তিবৃদ্ধি: শারীরিক দুর্বলতায় যারা ভুগছেন তাদের জন্যও মধু উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধে দুই থেকে তিন চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

শিশুর জন্যও উপকারী: শিশুর ওজন বৃদ্ধি, তাদের মুখের রুচি বাড়াতে এবং শিশুর পেট ভালো রাখতে মধুর বিকল্প নেই। এ জন্য প্রতিদিন গরম দুধ অথবা পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

হূদরোগে: নিয়মিত মধু সেবন হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত মধু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মধু দাঁত শক্ত করে। দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর: যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তারা মধু সেবনে উপকার পাবেন।

মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ নামের দুই ধরনের সুগার থাকে। সুক্রোজ ও মলটোজও থাকে অল্প পরিমাণে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি রয়েছে। এ ছাড়া এনজাইম, বিভিন্ন খনিজ যেমন পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও প্রোটিন আছে। মধুতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। এ জন্য সবাই নিশ্চিন্তে মধু খেতে পারেন।


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top