দ্রুত চুল লম্বা করে যেসব খাবার

নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২১, ২০:২৮

ফাইল ছবি

মজবুত এবং উজ্জ্বল লম্বা চুলের স্বপ্ন দেখেন প্রায় সকলে। তবে নারীদের ক্ষেত্রে চুল লম্বা করা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। অনেকেই চুল দ্রুত লম্বা করার লক্ষ্যে নানা কিছু করে থাকেন, ব্যাবহার করেন অনেক ধরণের প্রসাধনী এমনকি নামিদামি নানা ধরণের ঔষূধও খেয়ে থাকেন।  কিন্তু কিছু খাবার নিজের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখলেই চুল খুব তারাতারি লম্বা করা সম্ভব যা হয়তো অনেকেরই অজানা।

ডিমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে প্রোটিন। এমনকি চুল মূলত তৈরি হয় যে উপাদান দিয়ে তা হলো প্রোটিন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি প্রোটিন রাখা যায় তাহলে চুল খুব দ্রুত লম্বা হয়। পালং শাক সহ অন্যান্য সকল পাতা জাতীয় খাবারে অনেক বেশি পরিমানে আয়রন থাকে।শরীরে আয়রনের অভাব হলে চুল পরতে শুরু করে। আয়রনের অভাব হলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টিকর পদার্থ গুলো চুলে পৌঁছতে পারে না। যার ফলে চুল দুর্বল হয়ে যায়। টক জাতীয় ফল গুলো প্রধানত ভিটামিন-সি বহন করে। প্রতিদিন ভিটামিন-সি খাবারের মাধ্যমে শরীরে নেওয়া উচিৎ। কারণ এ ভিটামিন টি শরীরে নিজে থেকে উৎপাদিত হয় না। লেবু হলো ভিটামিন-সির পাওয়ার হাউস। প্রতিদিন এক গ্লাস লেবু পানি পান করলেও শরীরের জন্য যথেষ্ট। তবে এভাবে পান করতে গেলে অবশ্যই চিনির পরিবর্তে মধু অথবা অন্য কিছু ব্যাবহার করতে হবে। দ্রুত চুল লম্বা করতে চাইলে প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের জুসের বিকল্প নেই। গাজরে রয়েছে ভিটামিন-এ। শরীরের প্রতিটি কোষের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন-এ প্রধান ভূমিকা পালন করে। স্ক্যাল্পে চুল বড় করতে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন করে ভিটামিন-এ।  অ্যাভোকাডো এ ফলটি ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ। চুলের বৃদ্ধি কে তরান্বিত করে। মাঝে মাঝে নানা কারনে চুলের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় তখন এ ভিটামিন বৃদ্ধি পুনরায় শুরু করে। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় অ্যাভোকাডো জুস খাওয়া যেতে পারে। কুমড়া তে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন, ভিটামিন-এ এবং বিটা ক্যারোটিন। চুলকে দ্রুত লম্বা এবং মজবুত করতে যথেষ্ট কার্যকরী। এছারাও এতে রয়েছে ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-ই। এ ভিটামিন শরীরের খতিগ্রস্থ কোষ মেরামত করে।

বিটা ক্যারোটিনের অন্যতম ভাণ্ডার মিষ্টি আলু।  চুলকে রুক্ষ-শুষ্কতার হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু চুলের জন্যই নয় শরীরের রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতেও মিষ্টি আলুর ভূমিকা রয়েছে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত পলিফেনলিক যৌগ, যা কোষের ক্ষয়-ক্ষতি রোধ করে। আঙুরে উপস্থিত অলিগোমেরিক প্রানথোসায়ানিডিনস উপাদানটি চুল উঠা কমিয়ে আনে।পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি তরান্বিত করে। প্রতিদিন এক কাপের মত আঙুর খেলে শরীরের কোষের জ্বালাপোড়া রোধ হয়।

এন এফ৭১/ফামি/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top