শেখ হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল
সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হন
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৩০
আশা করি শেখ হাসিনা দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হবেন। ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন। এখন তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তির পর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের অনেকে পলাতক রযেছেন, এখন তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রথম কথা হলো এটা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সাবজেক্ট নয়। আইনের এন্টারপ্রিটেশন (ব্যাখ্যা) যদি বলেন, আমি যতটুকু বুঝি একটা গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে যে শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, সেটা যদি প্রসিকিউশন টিম জানে, বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেটা এক্সিকিউট করার চেষ্টা করা যেতে পারে, এটা একটা অপশন।
তিনি বলেন, সেকেন্ড অপশন হলো ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। শেখ হাসিনা যে দেশে আছেন সে দেশের আইনে ইন্টারপোল কাভার করে কি না তার জুরিকডিকশন কাভার করে কি না। এগুলো বিচার-বিবেচনা করে, এগুলো এটা হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথা বলছেন ওনার নিজের বক্তব্য এক্সামিন করে দেখবেন সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হন। আশা করি উনি এটা বিশ্বাস করেন এবং এটা ওনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার) জন্য ভালো হবে। ওনার বক্তব্য ওনি যে ফিলোসোফিতে বিশ্বাস করেন। প্রতিপক্ষের আসামি আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হন।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিচারিক কার্যক্রম শুরুতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদিকে আরেক মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি জারি করা হয়।
এদিন সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের রিভিউ নিষ্পত্তি করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরলো সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের হাতে।
বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।