বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জুলাই গণহত্যা মামলা

গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক আইজিপিসহ ৮ কর্মকর্তাকে

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টার পর পুরোনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালে তাদের আনা হয়।

সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ছাড়াও যাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে, তারা হলেন-ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফি, ডিএমপির সাবেক ডিসি জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক আরাফাত হোসেন।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, এই আট কর্মকর্তার মধ্যে দুজনকে আগেই ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সেই দুই কর্মকর্তার নিয়মিত হাজিরা থাকবে। আর ছয়জন কর্মকর্তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলামকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সেদিন চিফ প্রসিকিউটর এই মামলার আসামিদের ২০ নভেম্বর (আজ বুধবার) ট্রাইব্যুনালে হাজির করার আবেদন জানালে, তা মঞ্জুর করা হয়।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top