জাহালমের ক্ষতিপূরণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় ২৯ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আলোচিত জাহালমের ক্ষতিপূরনের রায় ঘোষণার দিন আগামী মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঠিক করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত কার্যতালিকায় মামলাটি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চের ২৯ সেপ্টেম্বরের কার্যতালিকায় রায়ের জন্য ১ নম্বর তালিকায় রাখা হয়।এই মামলাসহ আলোচিত ৫টি মামলার রায়ের জন্য বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে; যেটি ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত বসবে।

শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান ও সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন।

১২ ফেব্রুয়ারি খুরশীদ আলম খান বলেছিলেন, জাহালমের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। আদালত রায়ের জন্য সিএভি রেখেছেন। অর্থাৎ যে কোনো দিন এ রায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, গত বছরের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা, মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া রুলও জারি করেন আদালত।

পরে একই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টরা হাজিরের পর হাইকোর্ট জাহালমকে মুক্তির নির্দেশ দেন এবং দুদকের কাছে ঘটনার বিষয়ে হলফনামা আকারে জানতে চেয়েছেন। সে আদেশ অনুসারে দুদক হলফনামা আকারে তা উপস্থাপন করে।

এর ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট গত ১৭ এপ্রিল জাহালমকাণ্ডে কে বা কারা দায়ী তা দেখার জন্য এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এসব মামলায় দুদক, ব্র্যাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবু সালেকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খেটেছেন পাটকল শ্রমিক জাহালম।

এনএফ৭১/আরআর/২০২০