রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মসজিদে বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত চলছে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২১

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় একটি মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে সেটা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ আখ্যায়িত করে এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের শুরুর দিনে শোক প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের প্রয়াত সদস্য সাহারা খাতুন, ইসরাফিল আলম এবং ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিসহ সম্প্রতি মারা যাওয়া বিশিষ্ট-জনদের ওপর শোক প্রস্তাব আনা হয় সংসদে। শোক প্রস্তাবে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহতদের কথাও উল্লেখ করা হয়। সংসদ নেতা শোক প্রস্তাবের ওপর সমাপনী ভাষণ দেন।

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। আর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনার জন্য দোয়া করার কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা সেখানে গেছেন, নমুনা সংগ্রহ করছেন। ওই ঘটনা কেন ঘটলো, কীভাবে ঘটছে সেই ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। আমি মনে করি এটি বের হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাটি কেন ঘটল, কীভাবে ঘটল সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন তাকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে নিয়মিত খবর জানাচ্ছেন। দগ্ধদের চিকিৎসায় সব ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নামাজ পড়া অবস্থায় মসজিদে এ ধরনের বিস্ফোরণ খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ওইটুকু একটা জায়গায় ৬টা এসি লাগানো। আবার শোনা যাচ্ছে গ্যাসের লাইনের ওপরেই নাকি এই মসজিদটা নির্মাণ করা হয়েছে। সাধারণত যেখানে গ্যাসের পাইপলাইন থাকে সেখানে নির্মাণ কাজ হয় না। জানি না এটা কতটা সত্য। জানি না রাজউক থেকে এটার পারমিশন দিয়েছে কিনা। কারণ এখানে পারমিশন তো দিতে পারে না, দেওয়া উচিত নয়। এতে সব সময় আশঙ্কার ব্যাপার থাকে। সেটাই এখন তদন্ত করে দেখা হবে।’

সকলেই মসজিদে দান করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আজকাল সবার পয়সাও আছে। এয়ারকন্ডিশনও দিয়েছে। সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহটা, কতটা লোড নিতে পারবে সেই ক্যাপাসিটি ছিল কিনা, সার্কিট ব্রেকার ছিল কিনা সব বিষয় কিন্তু দেখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলে একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রীপরিষদ সচিবকে বলেছি। অন্য সবার কাছে আমার নির্দেশ গেছে। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। এর কারণটা খুঁজে বের করা। এছাড়া সারাদেশের অন্যান্য মসজিদে যারা অপরিকল্পিতভাবে ইচ্ছামতো এয়ারকন্ডিশন লাগাচ্ছেন বা যেখানে সেখানে একটি মসজিদ গড়ে তুলছেন, সেটা একটা স্থাপনা করার আদৌ জায়গা কিনা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কিনা, নকশা করা হয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলো দেখা একান্ত প্রয়োজন। না হলে এ ধরনের ঘটনা-দুর্ঘটনা যেকোনও সময়ে ঘটতে পারে।’

এনএফ৭১/এনএম/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top