ধর্ম ব্যবসায়িরা ইতিহাস জানতে দিতে চায় না

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০২০, ১৯:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ধর্মকে ব্যবহার করে যারা দেশকে নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চায়, সেসব ধর্ম ব্যবসায়িদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তিনি বলেন, আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কিছু ধর্ম ব্যবসায়ি বিরূপ মন্তব্য করছে। তারা জানেনা, ভাস্কর্য কি জিনিস আর মূর্তি কি জিনিস। তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক সুধি সমাবেশে একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রকৃত ধর্ম অনুসরণ করেই বাংলাদেশ চলবে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ পবিত্র কোরআন ও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশনা অনুযায়ি চলবে। হিংসা, বিদ্বেষ ও সন্ত্রাসের জায়গা ইসলামে নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। তিনি বলেন, অতীতেও ধর্মীয় শিক্ষাটাকে বিকৃত করে, ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে বিপথে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের করোনার চিকিৎসা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ভালো। শুরুতে বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসা নিয়ে শত সমালোচনা ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, ইউরোপ-আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসা ভালো। বাংলাদেশে করোনা রোগি সনাক্ত হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে; কিন্তু মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে আছে। এটা কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার ডাক্তাররা পারছেনা। আজকে আমেরিকার নির্বাচনে বড় অস্ত্র হয়ে গেলো করোনা। আমাদের দেশে করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন এক ধরনের স্বাভাবিক অবস্থা চলে এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যেও আমাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড থেমে নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালি, আমরা আড়াই মাস মানুষের বাড়ি বাড়ি চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিয়েছি। ইউএনও, ডিসিসহ সরকারি কর্মকর্তারা মানুষের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। যখন পরিবারের লোকজন কোন করোনার রোগীর পাশে যাচ্ছেন না, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। ডাক্তাররা রোগীদের চিকিৎসা করাচ্ছেন। এ চিত্র সমগ্র বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, করোনার সময়ে একদিনের জন্যও চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়নি। খাদ্য সরবরাহ চালু ছিল। এ সাহস আমরা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছ থেকে। তিনি সাহস না দিলে আমরা মুখ থুবড়ে পড়তাম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তি সময় থেকে দেশে নীতিহীন শিক্ষা শুরু হয়। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। ইতিহাস বিকৃত করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাজনীতিকে কলুষিত করেছে।

এনএফ৭১/আরআর/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top