সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলবে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ আগষ্ট ২০২২, ০২:২৭
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকের প্রথম দিনে কুশিয়ারার পানি বণ্টন চুক্তিতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। সচিব পর্যায়ের এ বৈঠক চলবে আজও।
এতে অভিন্ন ছয়টি নদ-নদীর পানি বণ্টনের খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে। এ নদ-নদীগুলো হলো মুহুরী, মনু, গোমতী, খোয়াই দুধকুমার ও ধরলা।
এছাড়া ফেনী নদীর পানি উত্তোলন নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার মন্ত্রি পর্যায়ের বৈঠক হবে।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বঙ্গবন্ধু চেয়ারের অধ্যাপক শাহিদুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময়ে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমঝোতা পত্র স্বাক্ষর হবে এবং কানেকটিভিটি ও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
সভায় ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে ভারত-বাংলাদেশের সুসংহত বাণিজ্য চুক্তি বা সেপা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের রপ্তানি বহু বেড়ে যাবে এবং বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১.৭২ শতাংশ বাড়াবে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সমন্বয়কারী শ্রিংলা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে উভয় দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আগামী পঁচিশ বছরের রূপরেখা তৈরি হবে।
শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি শুরু হয়েছে গত এক দশকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন প্রথম ঢাকা সফর করেন। তখন স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তখন যৌথ বিবৃতিতে এই সম্পর্ককে বলা হয়েছিল নয়া প্রজন্ম-নয়া দিশা।
বিষয়: কুশিয়ারা পানি বণ্টন চুক্তি ঐকমত্য
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।