অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলায় আনসার বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আর কখনও পেছনে ফিরে তাকাবে না: প্রধানমন্ত্রী

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৮:২৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারের যে পদক্ষেপ নিয়েছি, এতে এই দেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো। স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আর কখনও পেছনে ফিরে তাকাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে পেরেছি, আমরা স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করেছি, আমাদের দেশে মেট্রোরেল চালু হয়েছে, পাতালরেলও চালু হবে, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল করে দিচ্ছি, পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে আমরা করেছি। আর এই প্রতিটি স্থাপনার নিরাপত্তার সঙ্গে আনসার বাহিনী বিশেষভাবে জড়িত রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’ সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি এবং তাদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার অতিমারি এবং পরবর্তী রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক যে মন্দা দেখা দিয়েছে, তা থেকে আমাদের মুক্ত রাখতে হবে। এজন্য আমি আহ্বান করেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে, যত অনাবাদি জমি আছে, সব আবাদ করতে হবে। সেক্ষেত্রে গ্রামের লোকদের শেখানো, তাদের দিয়ে কাজ, ফসল উৎপাদন ও তা সংরক্ষণ করানোর ভূমিকা পালন করতে পারেন আনসার ও আমাদের গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা । আমি আশা করি আপনারা তা রাখবেন।’

সরকারপ্রধান বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও জ্বালাও পোড়াও যখন বিএনপি জামাত জোট শুরু করেছিল, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, গাড়িতে যখন তারা আগুন দিচ্ছিল, আনসার বাহিনীর সদস্যরা তখন নিজ নিজ এলাকায় দায়িত্ব পালন করে এই অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। তাছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনেও ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আনসার বাহিনীর উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আনসার বাহিনীর জন্য নতুন আইন প্রণয়ন, সিডমানি দিয়ে ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠান, কমব্যাট ড্রেসসহ তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৯৮ সালে আনসার বাহিনীকে জাতীয় পতাকা দিয়েছি। নানা সুযোগ-সুবিধা ও চাকরি স্থায়ী করেছি। আনসার বাহিনীর পদোন্নয়ন ও বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আনসার সদস্যরা মাসিক যে ভাতা পান, তা বাড়ানো হয়েছে। ২৭টি উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন অফিস ও আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন অফিস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গরিব আনসার সদস্যদের জন্যও নতুন ঘরের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে, তখনই আনসারদের জন্য সবকিছু করা হয়।’

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি অ্যাকাডেমিতে বাহিনীটির ‘৪৩তম জাতীয় সমাবেশ-২০২৩’-এ প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং একটি খোলা জিপে করে প্যারেড পরিদর্শন করেন।

নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যের হাতে আটটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি আনসার অ্যাকাডেমিতে বিভিন্ন স্থাপনা উদ্বোধন করেন এবং আনসার ও ভিডিপি পরিবেশিত বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কোরিওগ্রাফি উপভোগ করেন। খবর বাসস।

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top