আ.লীগ ক্ষমতায় এসেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে
বাংলাদেশের ওপর যেন আর কারো কালো থাবা না পড়ে: প্রধানমন্ত্রী
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:৩৭
শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে, সেদিকে সবার সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে, এটাই আমরা চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করবে, রিকশা চালাবে, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় থাকতে সেটা হবে না। আমরা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর করে দিচ্ছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের কাছে ভাতা পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা চাই, বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের পরিবার যেন মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে যে বিজয় করেছি, সেই কথাটা যেন মানুষ ভুলে গিয়েছিল। তার কারণ হচ্ছে যে, ’৭৫ জাতির পিতাকে হত্যার পর ইনডেমনিটি জারি করে হত্যাকারীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়ে, তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করেন। অপর দিকে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল, হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে যারা ছিল তাদেরকে ক্ষমতায় বসান। তারাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, উপদেষ্টা, তারাই ক্ষমতায় বসেন। স্বাভাবিকভাবে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এমন কী চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধার পরিবার হলে তাদেরকে দেওয়া হতো না। এই ধরনের দুর্ভাগ্য মতো পরিবেশ ২১ বছর পর্যন্ত চলে।
সরকার প্রধান জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্র বাহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। জানি না বিশ্বের অন্য কেউ এমনটি করেছে কি না। তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, যখন মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া কঠিন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে ফেলার চেষ্টা চলেছে। আমরা এসে তাদের মর্যাদা দিয়েছি। আমরা চাই, যারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছেন, তারা যে দলেরই হোক না কেন, মর্যাদা পাক।
তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমরা এরইমধ্যে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছি। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করেছি। উন্নয়নশীল বাংলাদেশের মর্যাদা পেয়েছি। ৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বো।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা যাওয়ার জন্য এই ১৫ ফেব্রুয়ারি একটা ভোটার বিহীন নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচনে ২ শতাংশ ভোটও পড়েনি। সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে খালেদা জিয়া নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা এসেছে এই ঘোষণা দেয়। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে অনেক সচেতন। তাদের ভোট চুরি হয়েছিল বলে সেখানে আন্দোলন হয়, সেই আন্দোলনের ফলে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করার একটা দিন।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ‘বীর নিবাস’ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
বিষয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালো থাবা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মান মুক্তিযুদ্ধ News newsflash71
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।