যেসব সুবিধা পাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
নিজস্ব প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১৩:১৭
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৩ এপ্রিল। এরপর আগামী ২৪ এপ্রিল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার কথা রয়েছে নতুন রাষ্ট্রপতির।
দেশের সংবিধান ও দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) (সংশোধন) অ্যাক্টে রাষ্ট্রপতি কী কী ক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা পান, তা বলা আছে। সেই হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনও এসব সুযোগ–সুবিধা পাবেন।
রাষ্ট্রপতির বেতন ও সুযোগ-সুবিধা :
১৯৭৫ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, ‘রাষ্ট্রপতির বেতন ভাতা ও সুবিধাদি আইন’ প্রণয়ন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৭৫ সালের ১২ জুলাই জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের দ্য প্রেসিডেন্টস (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজ) ১৯৭৫ পাস হয়। এরপর ১০ বার আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। এর আগেও এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও সেটি কার্যকর নেই। তার বিস্তারিত সুবিধাদি সম্পর্কেও কিছু জানা যায় না।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৯৭৫ সালে প্রণীত আইনটি দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সময়ে সময়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বেতন ভাতাটি বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়াতে এসব সংশোধনী হয়েছে। মূল আইনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে—আইনটি প্রণয়নের সময়ে (১৯৭৫ সালে) রাষ্ট্রপতির বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫০০ টাকা। এরপর ১৯৮৭ সালে আড়াই হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা, ১৯৯২ সালে ১৫ হাজার টাকা, ১৯৯৮ সালে ২৩ হাজার টাকা, ২০০৫ সালে ৩৩ হাজার ৪০০ টাকা, ২০০৯ সালে ৬১ হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালে এক লাখ ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির জন্য সরকারি বাসভবন (বঙ্গভবন) থাকবে, যার সাজসজ্জা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দেবে সরকার। স্বাভাবিকভাবে রাষ্ট্রপতি পরিবহন (গাড়ি) সুবিধা পাবেন। রাষ্ট্রপতি অফিশিয়াল কাজে দেশের বাইরে গেলে সরকার নির্ধারিত ভাতা পাবেন। রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন তহবিল বছরে দুই কোটি টাকা।
রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশের যেকোনো হাসপাতালে বিনা খরচে চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে দেশের বাইরে চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেই খরচও সরকার দেবে।
রাষ্ট্রপতি বিমানে ভ্রমণ করলে বিমাসুবিধার ব্যবস্থা আছে। এই বিমাসুবিধা এখন বছরে ২৭ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের আগে ছিল ১৫ লাখ টাকা। এ রকম আরও বেশ কিছু সুবিধা পান রাষ্ট্রের ১ নম্বর ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি।
এছাড়া দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনেই পাস হচ্ছে রাষ্ট্রপতির অবসরভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা আইন-২০১৬। এর মাধ্যমে বৈধ রাষ্ট্রপতিরা অবসরকালীন বর্ধিত ভাতা পাবেন, তবে বাদ যাবেন অবৈধ রাষ্ট্রপতিরা।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।