শহিদ মিনারে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা কাল
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০৯
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাখা হবে। একই সঙ্গে সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
বুধবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারপারসন আলফাতুন নেসা মায়া সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পর দিন ১৪ এপ্রিল শুক্রবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১০টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জুমার নামাজ শেষে সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছোট বোন আলেয়া চৌধুরী।
ডা. জাফরুল্লাহ মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টায় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। আগে থেকেই ভুগতে থাকা কিডনি জটিলতার পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় লাইফ সাপোর্টে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। তার মরদেহ এখন রাখা আছে বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে।
পেশায় চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা দিয়ে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পর চিকিৎসা গবেষণা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা ধরনের কাজ করে গেছেন। জাতীয় ওষুধ নীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও বড় ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মাধ্যমে সুলভে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত না হলেও আজীবন বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গণমুখী বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সংহতি-সমর্থন দিয়ে গেছেন। জাতীয় জীবনে অবদান রাখার জন্য সেই ১৯৭৭ সালেই স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।