এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না

‍দুই বছর পর পাঁচ মামলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জামিন

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৩, ০০:৩১

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা পাঁচ মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আমিনুল ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। তবে মামুনুলের বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

হেলাল উদ্দিন মোল্লা জানান, এসব মামলার এজাহারে তার নাম নেই। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেই। দুই বছর ধরে তিনি কারাবন্দি। এসব যুক্তি তুলে ধরার পর হাইকোর্ট পাঁচ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরও জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে প্রায় ৪১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে ১৩টি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আর আজ হাইকোর্টে পাঁচটিতে পেয়েছেন।

বুধবার যেসব মামলায় জামিন পেয়েছেন সেগুলো হচ্ছে- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ঘিরে হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় ২০২১ সালের ২৬ মার্চের নাশকতার ঘটনার মামলা, ২৯ মার্চ রাজধানীর পল্টন থানার মামলা, ২৬ মার্চ পল্টন থানার মামলা এবং ২০১৩ সালের মে মাসে রাজধানীর হেফাজতের মহাসমাবেশের সহিংসতার ঘটনায় পল্টন থানায় ওই বছরের ৫ এবং ৬ মে’র মামলা।

এরআগে, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।

এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ও সহিংসতার পর বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসেন। এরমধ্যে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরেরও বিরোধিতা করেন তিনি। এ নিয়ে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top