ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাড়বে ট্রেন, বাঁচবে সময়
আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ উদ্বোধন
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০২৩, ২৩:০৮
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে নতুন যুগের সূচনা হলো। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আর কোনো ট্রেনকে ক্রসিংয়ে পড়তে হবে না। কমে আসবে ট্রেনযাত্রার সময়। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডাবল লাইন এ রেলপথটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন উদ্বোধনের পর এই লাইনে ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই লাইনে রেলের গতি এনে দিয়েছি। চালকদের সতর্ক থাকতে হবে, কোন জায়গায় কতটুকু দ্রুতগতিতে চলবে সেটা ভাবতে হবে।
সরকাপ্রধান বলেন, এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম সবটুকু লাইনই ডাবল লাইনে উন্নীত হলো। এতে যাত্রীরা আরাম আয়েশে চলতে পারবে। পরিবহন খরচও কমে যাবে, এ পথে আগের চেয়ে এক ঘণ্টা সময় কম লাগবে। কক্সবাজার পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষের দিকে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
বিএনপি-জামায়াত যেন রেললাইন ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে দেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে বলেই এই কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে। এটা জাতীয় সম্পদ, এটা জনগণকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না, এরা কিছু দিতে জানে না। এরা নিজেদের আখের গোছাতে জানে, লুটপাট করতে জানে, দুর্নীতি করতে পারে, মানিলন্ডারিং করতে পারে। তাদের কাছ থেকে যেন দেশবাসী রক্ষা পায়।
দেশের প্রধান এ রেলরুটে বর্তমানে দৈনিক ২৩টি ট্রেন চললেও ডাবল লাইনে এখন ৭২টি ট্রেন চলতে পারবে। ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে যেতে আগে সাড়ে ৫ ঘণ্টা থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন ব্রডগেজে ৪ ঘণ্টা আর মিটারগেজে সাড়ে ৪ ঘণ্টা লাগবে। ট্রেন গতি ৬০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে মিটারগেজে ৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে। আর ব্রডগেজে চলবে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে।
প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দিয়েছে ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা ঋণ। এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক। আর এক হাজার ২৬ কোটি টাকার বেশি অর্থায়ন করেছে সরকার।
রেলওয়ে বলছে, ২০১৪ সালের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ওই সময় কাজ শেষ হয়নি। এরপর ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।