মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে গণতন্ত্র হত্যা
স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসনে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরুদ্ধ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ আগষ্ট ২০২৩, ০১:৩৫
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে মানুষের কণ্ঠরুদ্ধ করা হচ্ছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে লঙ্ঘন করা হচ্ছে মানবাধিকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে গণতন্ত্রকে হত্যা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে হামলা-মামলা দিয়ে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তিভবনের সামনে এ যুবসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু।
সমাবেশে খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তারা উন্নয়নের সংজ্ঞা পাল্টে দিয়েছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট করে দেশকে পঙ্গু করা হয়েছে। দেশের কোটি যুবক বেকার তাতে কিছু যায় আসে না। তাদের কাজ হচ্ছে নিজেদের কোষাগার ভর্তি করা। আজকে সময় এসেছে নষ্ট রাজনীতিকে প্রত্যাখান করে বাম গণতান্ত্রিক শক্তিকে জোরদার করা।
এ যুবনেতা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে জনজীবনের সংকট আরও তীব্রতর হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের বিপুল কর্মহীন যুবককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মসংস্থানের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া বিকল্প নেই।
যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু বলেন, সরকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের আওয়াজ দিয়ে সরকার তার ব্যর্থতাকে আড়াল করতে চাইছে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থানের অভাবে হাজারো যুবক জীবন বাজি রেখে সমুদ্র পথে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। সরকারি দলের পরিচয়, সুপারিশ ও নগদ টাকা ছাড়া কোনও চাকরি হয় না। দলীয়করণ লুটপাট মাত্রা ছাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই।
এরআগে, পুরানা পল্টন থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দৈনিক বাংলা, গুলিস্তানসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।