শনিবার দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন

শাকিল খান | প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট ২০২৩, ২০:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আংশিক খুলে দেওয়া হবে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একটি বড় সুবিধা হলো সরাসরি গাড়িগুলোকে একস্থান থেকে অন্য স্থানে চলে যাবে মাঝপথে যানজটে পড়তে হবে না। এয়ারপোর্ট থেকে যে গাড়িগুলা সরাসরি যাত্রাবাড়ীর দিকে যাবে, সেগুলোকে কোনো যানজট মোকাবিলা করতে হবে না।

তবে কয়েকটি ব্যস্ত রাস্তায় যে র‌্যাম্প নামানো হয়েছে সেখানে যানজট তৈরি হতে পারে। রাজধানীর ভেতরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে র‌্যাম্প থেকে গাড়ি নেমে যানজট বাড়িয়ে দেবে। এ দফায় উত্তরার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১৩টি সংযোগ সড়ক দিয়ে যান চলাচল করবে।

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট–এই ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে স্বাভাবিকভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগত। কোনো কোনো সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এ সময় লাগবে ১২ থেকে ১৫ মিনিট।

এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি হচ্ছে সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প রয়েছে। র‍্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ওপর আর নিচের গতিতে সমন্বয় রাখতেই ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলার কথা থাকলেও আংশিক এ পথে তা বেঁধে দেয়া হয়েছে ৬০ কিলোমিটারে। র‌্যামগুলোতে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সমন্বয় করা হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে।

প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা।

এ পথের শতভাগ সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে এর শেষ প্রান্ত অর্থাৎ কুতুবখালী পর্যন্ত চালু হওয়া অবধি।

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top