প্রতিমন্ত্রী রাসেলকে নিয়ে আদম তমিজির ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেশজুড়ে তোলপাড়...
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:০৯
হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা ও ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতী লীগের প্রধান উপদেষ্টা আদম তমিজি হক এবার তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেললেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই তার পাসপোর্ট পোড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এরইমধ্যে তার ফেসবুক স্ট্যাটাস ও লাইভ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ভিডিওতে তমিজি হক বলেন, আমি আদম তমিজি হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম। আওয়ামী লীগ আমার এক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে, আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। আমার এদেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই। আমার যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে আপনারা বুঝে নিয়েন কারা আমার এই ক্ষতি করছে।
গেলো শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই ফেসবুকে একের পর এক স্ট্যাটাস দিতে থাকেন হক গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজি হক। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি ও নুরুল ইসলাম নুরুকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার রাতে বিদেশে অবস্থানকালে তমিজি হক লাইভে এসে বলেন, শুভ বিকেল, আমার কারখানা থেকে বেআইনিভাবে জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। জাহিদ আহসান রাসেলের বাবা একজন ভালো মানুষ ছিলেন, তিনি আমার বাবার বন্ধু। প্রতিমন্ত্রী রাসেল, তাঁর চাচা মতিউর রহমান মতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরু আমার প্রতিষ্ঠান থেকে বেআইনিভাবে টাকা-পয়সা নিতেন। তাঁরা এ পর্যন্ত আমার ১ হাজার কোটি টাকা লুট করেছেন। প্রতিমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তুই একটা চোর, বাটপার, তুই আমাকে চিনস। আমি টঙ্গীতে আসতেছি। সাহস থাকলে ঠেকা।’
ফেসবুক লাইভ ছাড়াও এক স্ট্যাটাসে (ইংরেজিতে) তমিজি লিখেছেন, ‘প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী, অনেকেই আপনারা এত দিন আমাকে ‘চুতিয়া’ ভেবেছেন। প্রয়োজনে আজই আমি আমার ক্ষমতার আংশিক রূপ দেখাতে পারি। আমি বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে নামাতেও পারি। সুতরাং আমার সম্পত্তির দিকে হাত বাড়ানোর আগে খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’
অন্য এক স্ট্যাটাসে আদম তমিজি হক নাম উল্লেখ না করে লিখেছেন, ‘প্রিয় নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী), আমি এবং আমার দ্বিতীয় স্ত্রী দুবাই থেকে ঢাকার পথে। বাকি পারিবারিক সদস্যরা আজকে রাতে রওনা করবে এবং সকালে পৌঁছাবে। এমপি রাসেল ও তাঁর চাচার ভয়ানক থাবা থেকে আমরা আমাদের রিজিক বাঁচানোর লক্ষ্যে আসতেছি।’
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।