বিবিএসের জরিপ
দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকার ৮ লাখ, মোট ২৫ লাখ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ২০:০৩
স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করে প্রতিবছর লাখো তরুণ চাকরির প্রতিযোগিতায় নামেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে লড়াই করে চাকরিতে ঢুকেন তারা। চাকরির বাজার কিংবা সামাজিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষিতদের চাহিদাই সবসময় বেশি। কিন্তু এই চাহিদার উল্টোদিকে উচ্চশিক্ষিতরাই এখন বেকার।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তবে বেকারের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তারা মনে করেন, বাস্তবে বেকারের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ, প্রতিবছর যেসব তরুণ-তরুণী স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হন, তাঁদের প্রায় অর্ধেক গড়ে দু-তিন বছর বেকার থাকেন। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, কোভিড মহামারি এবং অর্থনীতির চলমান সংকটের কারণেই দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েছে।
দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ ৮২ হাজার। উচ্চশিক্ষিত নারী-পুরুষ বেকার কমপক্ষে আট লাখ। বিবিএসের প্রতিবেদনেই বলা হয়েছে, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারের হার এখন ১২ শতাংশে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন ব্যক্তিদের মধ্যে বেকার ১ শতাংশের একটু বেশি। সংখ্যার দিক থেকে এমন বেকার আছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনোদের মধ্যে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৩ লাখ ২২ হাজার বেকার আছেন।
জরিপ অনুযায়ী, মাধ্যমিক পাস করেছে এমন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ বা ৭ লাখ ৩৯ হাজার বেকার। উচ্চমাধ্যমিক পাস করাদের মধ্যে বেকার ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
জরিপ বলছে, এখন দেশে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আছেন। এর মধ্যে কাজে নিয়োজিত আছেন ৭ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। সার্বিকভাবে কর্মজীবী নারী-পুরুষের মধ্যে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ১০ হাজার পুরুষ এবং ২ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার নারী।
বেকার মানুষের পরিসংখ্যান আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞা অনুযায়ী বের করে বিবিএস। আইএলওর সংজ্ঞা অনুযায়ী, বিগত ৩০ দিনের মধ্যে কাজপ্রত্যাশী একজন মানুষ যদি সর্বশেষ সাত দিনে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টাও কাজ করার সুযোগ না পান, তাহলে তাকে বেকার হিসেবে ধরা হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।