কারাগারে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী-কন্যা সাক্ষাৎ

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৫১

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় দেড়মাস ধরে কারাগারে বন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে তার স্ত্রী ও কন্যা দেখা করেছেন। 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির জানান, রবিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ ও মহাসচিবের সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম কারাগারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তারা প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন। তারা জানিয়েছেন, মির্জা ফখরুল ভালো আছেন। পত্রিকার মাধ্যমে দেশের খবর রাখছেন।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানিগঞ্জে কারাবন্দি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করেছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও বড় মেয়ে মির্জা সাফারুহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের কমকর্তা শায়রুল কবির খান।

শায়রুল কবির খান জানান, পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব শারীরিকভাবে ভালো আছেন। তিনি পত্রপত্রিকা পড়ে দেশের রাজনীতির খবরাখবর রাখছেন।

এ নিয়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কারাগারে তৃতীয় দফা দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা। শায়রুল কবির জানান, গত ৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় এসেছেন মির্জা শামারুহ।

তখন শামারুহ বলেছিলেন, 'আব্বুর বয়স ৭৬ এবং তিনি গতরাতেও প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলেন, এখন একটু ভালো আছেন। পুলিশের টিয়ার গ্যাস তার ফুসফুসে গেছে এবং তিনি রাতেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আমি অবিলম্বে আমার আব্বুর মুক্তি চাই।’

বিএনপি মহাসচিবের আটকের বিষয়ে উল্লেখ করে শামারুহ মির্জা তখন আরও বলেছিলেন, ‘আমার বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আজ সকালে ডিবি পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। আজ বাংলাদেশ যখন বিরোধী মতামত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই, লাখ লাখ বিরোধী মতাদর্শী কারাগারে বন্দি, লাখ লাখ সন্তান তাদের বাবার জন্য অপেক্ষা করছে, সেখানে এই ঘটনা আমাকে অবাক করেনি! আমার আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস— এই জুলুম একদিন শেষ হবে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের দিন কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় পরদিন ২৯ অক্টোবর সকালে মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসভবন থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে উল্লিখিত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top