নির্বাচনে সেনা মোতায়েনে সম্মত হয়েছেন রাষ্ট্রপতি: ইসি সচিব

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম। 

বঙ্গভবনের সামনে ইসি সচিব বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় ছিল; নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সহায়তা। এ বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করেছে।

পরে রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে নীতিগতভাবে তিনি সামরিক বাহিনী মোতায়েনে সম্মত হয়েছেন। কত দিন ধরে সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকবে সে বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এটি সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।

এদিকে, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করতেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেনা মোতায়েনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে সেনা মোতায়েনের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

সাক্ষাৎকালে সিইসি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

এর আগে, বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top