জিম্মি অবস্থায় ১৫ দিন! উদ্ধারে নেই দৃশ্যমান উদ্যোগ
রাশেদ রাসেল | প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭
সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ১৫ দিন। কিন্তু জাহাজটি এবং এর জিম্মি ২৩ নাবিকের মুক্তির বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আসেনি। সর্বশেষ ২০ মার্চ জলদস্যুরা যোগাযোগ করেছিল। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
এ বিষয়ে এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, ২০ মার্চের পর আর যোগাযোগ হয়নি। তবে নাবিকদের সঙ্গে নানা মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে। তারা জাহাজে সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।
সর্বশেষ তথ্যমতে, সোমালীয় পান্টল্যান্ড পুলিশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ভারতীয় নৌবাহিনীর কড়া নজরদারিতে রয়েছে জিম্মি জাহাজটি। এসব বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে কমান্ডো হেলিকপ্টার ও যুদ্ধজাহাজ।
বিবিসি সোমালিকে ২৩ মার্চ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ডের নুগাল পুলিশ বিভাগের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলেছেন, এমভি আবদুল্লাহ এখন সোমালিয়ার জিফলের উপকূলীয় এলাকায় আছে।
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এস আর শিপিংয়ের এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি ছিনতাই হয়েছে। ছিনতাইর পর একবার অবস্থান বদল করে উত্তরে সরে যায় এমভি আবদুল্লাহ।
বাংলাদেশী জাহাজটি ছিনতাই হওয়ার সময় থেকেই এটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। তারা এরই মধ্যেই জলদস্যুদের ব্যবহৃত জাহাজ এমভি রুয়েনের গতিরোধ করে জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, রুয়েনে থাকা ৩৫ জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। ১৭ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জলদস্যুদের বিচারের জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।