তীব্র গরম উপেক্ষা করে বর্ষবরণে মানুষের ঢল

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩১

ছবি: সংগৃহীত

রোদ-গরম উপেক্ষা করে মঙ্গলশোভা যাত্রায় যোগ দিতে আসেন হাজারো মানুষ। আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বর্ষ ১৪৩১।

নববর্ষকে বরণ করতে রাজধানীর রমনা পার্কে মানুষের ঢল নামে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় শুরু হওয়া এ উৎসবে উপস্থিত হয়েছেন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। পয়লা বৈশাখের এই আয়োজন রূপ নেয় বর্ণাঢ্য মহোৎসবে।

দলে দলে আসছেন নারী-পুরুষ ও শিশু। উৎসবে যোগ দেওয়া লোকজন বলছেন, নতুন বছর মানেই নতুন সম্ভাবনা। নতুন বছরের নতুন দিনের এ আয়োজন দেশ, জাতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবনের সমৃদ্ধি অর্জনের প্রেরণা জোগাবে। প্রত্যয় থাকবে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে প্রগতির পথে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার।

শাহবাগ থেকে মৎস্যভবন রাস্তার দুইপাশের ফুটপাত ধরে শত শত মানুষ হাঁটছেন। তাদের সবার পরনে কম বেশি বৈশাখের পোশাক। হাঁটার ফাঁকে ফাঁকে কেউ কেউ ছবি তুলছেন। কেউ আবার রোদের তীব্রতা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সঙ্গে ছাতা নিয়ে এসেছেন।

নারীরা লাল-সাদা শাড়ি, কাচের চুড়ি, দুল-মালায় বাঙালিয়ানা সাজে সেজেছেন। পুরুষের গায়ে শোভা পেয়েছে একই রঙ-নকশার পাঞ্জাবি। অনেকের মাথায় শোভা পেয়েছে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকার ছাপ দেওয়া ব্যান্ড। তারা রমনা বটমূল ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানের গান, কবিতা আসরে যোগ দিয়েছেন।

বর্ষবরণের আয়োজন ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়। বসানো হয় পুলিশ ও র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম। প্রবেশপথ ও বাহির পথ করা হয় আলাদা।

আজ আবহাওয়ার তথ্য বলছে, ঢাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেদিকে খেয়াল নেই পয়লা বৈশাখ উদযাপনকারী মানুষজনের। রমনায় প্রবেশের পর লোকজন পুকুরপাড়ের ধার ধরে কেউ বসে গল্প করছেন, কেউ আবার নতুন তৈরি পুকুরের কোল ঘেঁষে কংক্রিটে বাঁধানো পাড়ে হেঁটে সময় কাটাচ্ছেন।

নববর্ষের প্রথম দিন উদযাপন করতে বৈশাখের সাজে এসেছে নতুনত্ব। কাঠফাটা এ গরমকে পেছনে ফেলে বাঙালিরা বাঙালিয়ানায় কোনো কমতি রাখেন নি। গরমে নিজেকে প্রাণবন্ত ও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন তারা।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top