নতুন বাজেট দরিদ্র মানুষকে শোষণের হাতিয়ার: মঈন খান
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৪, ২০:৩৬
২০২৪-২৫ অর্থ-বছরে প্রস্তাবিত বাজেট ‘দেশের দরিদ্র মানুষের শোষণের বাজেট’ এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘এদেশের ১৮ কোটি মানুষের আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণে জনপ্রতিনিধিত্ববিহীন এই সরকারের কোন নৈতিক অধিকার নেই এবং এটাই হচ্ছে আজকের দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য।’
বৃহস্পতিবার বিকালে ২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় মঈন খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে সরকারের ক্ষমতা দখল করে আছে। পুরো বাজেট প্রক্রিয়াটি হচ্ছে এ দেশের দরিদ্র মানুষকে শোষণের জন্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো একটি হাতিয়ার। এই কল্পনার ফানুস- একদিকে দেশের বর্তমান ধ্বংসপ্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ে এবং অন্যদিকে দেশের গণমানুষের চলমান ত্রাহি ত্রাহি অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে- এক নিষ্ঠুর খেলামাত্র।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘ফলশ্রুতিতে দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তায় এ বাজেট দেওয়া না দেওয়ার কোনো রকম সম্পর্ক তো নেইই, বরঞ্চ এই অলিগার্কিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সরকারের নির্বাচন নাটকের পরে আগামী বছরের এই বাজেট সরকার কর্তৃক জনগণকে নিয়ে আরো একটি করুণ ও হৃদয়বিদারক প্রতারণার কথাই মনে করিয়ে দেয়।’
এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এবারের বাজেট সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট। বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের (২০২৪-২৫) বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। পরে এটি সংশোধন করে সাত লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।