ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল নিহত
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২৪, ১৩:০৯
রাজধানীর বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। এ ঘটনায় কাউসার নামের আরেক পুলিশ কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে গুলশান থানা-পুলিশ।
গুলিতে মনিরুল নামে পুলিশের আরেক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় জাপান দূতাবাসের একজন ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ ও এক পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলিতে আতঙ্ক ছড়ায়। গুলির খবরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও শুরুর দিকে আতঙ্কে কেউ সামনে যেতে পারছিলেন না।
নিহত কনস্টেবল মনিরুল পুলিশের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গতরাতে ফিলিস্তিন দূতাবাস লাগোয়া উত্তর পাশের গার্ডরুমে তার ডিউটি ছিল। একই সময়ে ডিউটিরত আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ তাকে গুলি করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পরে কনস্টেবল কাউসার আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পাঁচ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের এলোপাতাড়ি গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল নিহত হন।
রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে আমরা বাহিরে আসি। বাইরে আসার পর কাউসার কে দেখি ফিলিস্তিনি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু দূরেই পড়ে রয়েছে মনিরুলের মরদেহ। তখন আমরা কাউসারকে জিজ্ঞেস করি কি হয়েছে। তখন সে বলে শালা (মনিরুল) নাটক করতেছে এমনি মাটিতে পড়ে রয়েছে।
এই কথা বলে কাউসার দূতাবাসের বিপরীত পাশে রোডে চলে যায়।এরই মধ্যে সবাই বুঝে উঠে যে কাউসার মনিরুলকে গুলি করেছে। এর পরপরই ঘটনাস্থলে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা কাউসারকে আটক করে।
ঘটনাস্থলে সরজমিনে গিয়ে নিহত পুলিশ সদস্যের নিথর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। গুলশান-বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের সামনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। তাদের সঙ্গে মোতায়েন রয়েছেন ঘটনাস্থলে সোয়াট সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।