অবশেষ ৬ সমন্বয়কে পরিবাররের কাছে হস্তান্তর

মেহেদী হাসান | প্রকাশিত: ১ আগষ্ট ২০২৪, ১৬:৪৯

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডিবির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) আজহার মুকুল ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরের দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয় থেকে সংস্থাটির নিজস্ব পরিবহনে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ছয় সমন্বয়ক হলেন- নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।

এর আগে গত শুক্রবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে শনিবার সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে ডিবি হেফাজতে থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক।

তাদের সই করা লিখিত বার্তায় বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’

প্রসঙ্গত, ডিবিতে থাকা ছয় সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে তিনজনকে গত শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে আনা হয়। তারা হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের।

এর পরেরদিন সন্ধ্যায় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে আসে ডিবি। এরপর রোববার ভোরে মিরপুরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকেই এসব সমন্বয়ক ডিবি কার্যালয়ে আছেন। ডিবির দাবি করেছে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে এসব সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে এবং আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন দুই আইনজীবী। তারা হলেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

গত ৫ জুলাইয়ের পর থেকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর একের পর এক কর্মসূচি দিতে থাকেন তারা। পরবর্তীতে এই আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুর ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়। যা মোকাবিলায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে সরকার। যা বর্তমানে অনেকটা শিথিল রয়েছে।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top