কোন কৌশলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হলো মিয়ানমার, জানা গেল গোপন সিক্রেট

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪১

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তালিকাভুক্ত ৮ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার যোগ্য। এতথ্য জানিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গা আছে চূড়ান্ত যাচাই–বাছাইয়ের পর্যায়ে।

বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের কূটনীতিতে এটি বড় একটি সাফল্য। দীর্ঘ ৮ বছর বাংলাদেশের গলার কাঁটা হিসেবে আটকে ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। তাদের ফেরত নিতে কিভাবে মিয়ানমারকে রাজি করাল বাংলাদেশ। কোন কৌশলের কারণে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। সেটাই প্রশ্ন এখন সবার মনে।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস আজাদ মজুমদার সেই প্রশ্নের খানিকটা জবাব দিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে কৌশল প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন তিনি। লিখেছেন, রয়টার্স, ইএফই এবং ওয়াশিংটন পোস্টের মতো সংবাদমাধ্যমে প্রায় ২০ বছর ধরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেছি। ক্যাম্পের প্রতিটি কোণে গিয়েছি। এবং তাদের দুর্দশা সম্পর্কে অনেক গল্প লিখেছি। বিশেষ করে ২০১৭ সালের গণহত্যার পর।

তিনি আরও লিখেন, আমি কখনও ভাবিনি যে আমি সংকটের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করার এত কাছাকাছি পৌঁছে যাব। যা অবশেষে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাবাসনের দরজা খুলে দেবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্যাংককে বাংলাদেশ সরকারের শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। জানান, ব্যাংককে, বাংলাদেশ প্রথমে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়নি। কারণ তাদের নেতা বিআইএমএসইসি ভাষণে রোহিঙ্গাদের অবৈধ বাঙালি বলেছিলেন। পরে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার জন রোহিঙ্গা ফিরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে রাজি হয়। এর পরেই এই বৈঠকটি হয়।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে কাজ করা ড. খলিলুর রহমানের প্রশংসা করেন আজাদ মজুমদার। লিখেন, উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান কীভাবে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন তা দেখে আমি অবাক হয়েছি। অভিবাদন। 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top