সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

চীনকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে চান ড. ইউনূস

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৪০

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবো-এর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

চীনের গভর্নরকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি কেবল শুরু। আমরা এত কাছাকাছি, অথচ এত দূরে। চলুন, এই ব্যবধান ঘুচিয়ে ফেলি।’

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ-চীনের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চায়। এসময় প্রধান উপদেষ্টা তার সাম্প্রতিক চীন সফরের প্রসঙ্গ তুলে এটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বক্তব্য আশাব্যঞ্জক। এসময় প্রধান উপদেষ্টা এবং গভর্নর যুব বিনিময়, স্বাস্থ্যসেবা সহযোগিতা, শিক্ষা এবং বাণিজ্য সহ বিভিন্ন সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

গভর্নর ইউবো আন্তরিকভাবে সাড়া দিয়ে বলেন, আমার এই সফরের লক্ষ্য হলো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। ইউনান প্রদেশ দক্ষিণ এশিয়ার জন্য চীনের উন্মুক্ত হাব হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত।

গভর্নর ইউবো জানান, ইউনান প্রদেশের একটি চীনা ব্যাংক ইতোমধ্যে অধ্যাপক ইউনূস প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। চীনের বহু মানুষ এই পদ্ধতির সুফল ভোগ করছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি দুই দেশের মধ্যে সামাজিক লক্ষ্যগুলোর মিল থাকার কথাও উল্লেখ করেন।

গভর্নর পেশাগত প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল ও ভাষা শিক্ষা এবং সামুদ্রিক খাবার, আম ও কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন। আমাদের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে এবং আমাদের অঞ্চলগুলোকে আরও কাছাকাছি আনতে হবে,-বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা গভর্নরের সব প্রস্তাবে সম্মতি জানান। আপনি যা যা বললেন-স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাণিজ্য ও প্রশিক্ষণ সব কিছুতেই আমরা একমত। আমরা এগুলো আগের চেয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা ঘনিষ্ঠ অংশীদার এবং প্রকৃত বন্ধু হতে চাই।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে প্রধান উপদেষ্টা ভাগাভাগি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং সমৃদ্ধির নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করতে চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বাংলাদেশের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় সিনিয়র সচিব এবং এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top