ঢাকা ওয়াসা: ষষ্ঠবারের মতো এমডি হচ্ছেন তাকসিম, ‘অনৈতিক’ বলছে টিআইবি

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আলোচিত-সমালোচিত ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে তাকসিম এ খানের আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় এ প্রস্তাব করা হয়। বোর্ডের দশ সদস্যের উপস্থিতিতে নেয়া এই প্রস্তাব আগামী রোববার লিখিত প্রস্তাব আকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

২০০৯ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকসিম এ খানকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয় । এরপর পাঁচ দফা তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। পঞ্চম দফার মেয়াদ আগামী ১৪ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা।

শনিবার সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ষষ্ঠ দফায় ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খানের মেয়াদ আরো ৩ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। সভায় বোর্ডের বেশিরভাগ সদস্য তাকসিম এ খানের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে বলে জানান মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তবে ৩ জন সদস্য প্রস্তাবের বিপক্ষে মত দিয়েছেন।

প্রস্তাবের বিরোধীতাকারীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। যেকোন নিয়োগ ওয়াসার প্রবিধান অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হতে হবে বলে জানান তারা।

এদিকে, তাকসিম এ খানকে আবারো নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগকে ‘অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূত’ বলে আখ্যা দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি।

শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলছে, “বরাবরের মত এবারও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঢাকা ওয়াসার শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় একই ব্যক্তির অনৈতিক ও অবৈধ বহাল অব্যাহত রেখে দীর্ঘকালের লালিত এককেন্দ্রিক আধিপত্যবাদ অপরিবর্তিত রাখার সব ব্যবস্থা করে ফেলা হয়েছে।”

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গণমাধ্যম ও নির্ভরযোগ্য প্রত্যক্ষ তথ্য সূত্র অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের বিশেষ সভায় শুধুমাত্র বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম উল্লেখ করে তাকে আবারও তিন বছর মেয়াদে পুনর্নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

“নিয়ম অনুযায়ী এই পদে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছিল কী না, কারা আবেদন করেছিলেন, কেন তারা যোগ্য বিবেচিত হলেন না, বা কেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকই একমাত্র উপযুক্ত প্রার্থী, কেন সংশ্লিষ্ট বিধি অবমাননা করে মেয়াদের পর মেয়াদ একই ব্যক্তিকে নবায়ন দান অপরিহার্য, এসব প্রক্রিয়াগত প্রশ্নের উত্তর যাচাই করা হয়েছে কী না, তার কোনো উল্লেখ নেই।”

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সময়ে জনদুর্ভোগের বিষয়টি ‘কারো অজানা নয়’। টিআইবির গবেষণা ও নির্ভরযোগ্য সংশ্লিষ্ট সব সূত্রে ওয়াসার অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে।

এনএফ৭১/এমকে/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top