আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৯ জুন ২০২৫, ১৩:৪৭

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, তদন্তে দোষী হলে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। কেউ নির্দোষ হলে কেন সাজা দেব। সোমবার (৯ জুন) যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন ও ঈদে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে হত্যা বা হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হবে না জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিছু কিছু মামলা ইনভেস্টিগেশন হয়নি, ইনভেস্টিগেশন হওয়ার পরে যে দোষী হবে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। আপনারাই সবসময় বলেছেন যে নির্দোষীরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়।
এ জন্য আমাদের ইনভেস্টিগেশনটা করতে দেন, ইনভেস্টিগেশন করার পর যেই দোষী হোক না কেন কেউ আইনের বাইরে থাকবে না। তারে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। দোষী যে হবে তারে আমরা শাস্তি দেব।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি, যাতে করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। রাস্তাঘাটে দু’একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। দু’একটা চুরি-চামারি হচ্ছে, তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাই ঈদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমি মোটামুটি খুশি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আজ আমরা এখানে এসেছি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও তাদের খাওয়া-দাওয়ার বিষয়টি দেখার জন্য। তারা জানিয়েছেন তাদের দুপুরের ও রাতের খাবার একই, তবে দাম ভিন্ন। তাই আমরা বলেছি, একই মূল্য ধরার জন্য। এছাড়াও একজন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) খাবারের সময় দেখভালে দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যাতে ঈদে তাদের খাবারের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা হয়।’
এর আগে রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) ঢাকায় আসেন আব্দুল হামিদ। অবতরণের পর ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি হুইল চেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। পরে রাত পৌনে ৩টার সময় তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হলে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শুরুতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছিলেন আবদুল হামিদ। দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার ও শ্যালক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান যান। দেশের চিকিৎসকদের পরামর্শেই তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে শুরু হয় তোলপাড়। তার দেশ ছাড়ার সহযোগীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ সদর দপ্তর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটিও করে। তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতায় জড়িতদের শনাক্ত করতে গঠিত ওই কমিটি কাজ করছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।