২০২৬ সালে দেশের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশে পৌঁছাবে: এডিবি
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৪২

এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ হবে। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এটি ৫ শতাংশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা সতর্ক করেছেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পরিবর্তন প্রবৃদ্ধিকে ধীর করতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এডিবি তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে।
এডিবি জানিয়েছে, দেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি মূলত ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার উপর নির্ভর করবে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, “বাংলাদেশের বাণিজ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনও দেখা যায়নি, কিন্তু ব্যাংকিং খাতে দুর্বলতা রয়ে গেছে। উচ্চতর অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা অর্জনের জন্য এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অপরিহার্য। বাণিজ্য অনিশ্চয়তা, ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা প্রবৃদ্ধির জন্য ঝুঁকি হিসেবে থাকতে পারে। তাই বিচক্ষণ সামষ্টিক নীতি এবং কাঠামোগত সংস্কার জরুরি।”
প্রতিবেদনে এডিবি আরও জানিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি ২০২৪ অর্থবছরের ৯.৭ শতাংশ থেকে ২০২৫ অর্থবছরে ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপির সামান্য উদ্বৃত্ত ০.০৩ শতাংশ থাকতে পারে, যা ২০২৪ সালের ১.৫ শতাংশ ঘাটতির তুলনায় বেশি। এতে বাণিজ্য ব্যবধান সংকুচিত এবং শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহের প্রভাব থাকবে।
২০২৬ অর্থবছরে মূল প্রবৃদ্ধি চালিকা শক্তি হিসেবে ভোগ বৃদ্ধি কাজ করবে। শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং নির্বাচন-সম্পর্কিত ব্যয় প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করবে। তবে, সংকোচনশীল আর্থিক ও রাজস্ব নীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার কারণে বিনিয়োগের হার কমতে পারে।
এডিবি সতর্ক করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি এবং ইইউ-সহ বিশ্বব্যাপী বর্ধিত প্রতিযোগিতা রপ্তানি ও প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এতে রপ্তানিকারকরা ইউনিটের দাম কমাতে বাধ্য হতে পারেন।
এডিবি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক। এটি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে কাজ করে। সংস্থার সদস্য রয়েছে ৬৯টি দেশ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।