শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের সামনে হাদি হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন ডিএমপি কমিশনার

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদ্‌ঘাটন এবং জড়িতদের পরিচয় প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী। শনিবার রাত ১১টার দিকে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সব পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে। ইতোমধ্যে তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, সরকারের নির্দেশনায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে তদন্তে কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য এখনই প্রকাশ করা না গেলেও মামলার গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা-মা, স্ত্রী, স্ত্রীর ভাই ও তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি পিস্তল উদ্ধার করে সিআইডিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। এর প্রমাণ হিসেবে ২১৮ কোটির স্বাক্ষরিত একটি চেক উদ্ধার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে, অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির মধ্যে মামলার চার্জশিট দাখিলের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে আশ্বাস দেন যে, খুব শিগগিরই প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।

এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সব প্রমাণ যাচাই-বাছাই শেষে ৭ জানুয়ারির পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই চার্জশিট দাখিল করা হবে। তিনি বলেন, এটি একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, তাই নির্ভুল ও শক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করা হবে। পালিয়ে থাকা কেউই আইনের বাইরে থাকবে না।

উপদেষ্টা আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদকালের মধ্যেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।

এনএফ৭১/ওতু