‍’মিল মালিকরা মজুদদারি করছে’ আগের দামে চাল বিক্রির নির্দেশ মন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পনের দিন আগের বাজারদর অনুযায়ী অক্টোবর মাসজুড়ে চাল বিক্রির জন্য চালকল মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।  

তিনি আজ (২৯ সেপ্টেম্বর) খাদ্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শেষে তিনি এই নির্দেশ দেন।

তবে, সভার শেষ দিকে এসে খাদ্যমন্ত্রী ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ২৬০০ টাকা এবং আটাশ চালের দাম ২৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেন।

কিন্তু চাল ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে খাদ্যমন্ত্রী ১৫ দিন আগের দামে চাল বিক্রির নির্দেশ দিয়ে সভা শেষ করেন।

সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের মিনিকেট চাল ৫০ কেজির প্রতিবস্তা সর্বোচ্চ ২৫৭৫ টাকা (মিলগেট মূল্য) এবং মাঝারি মানের আটাশসহ অন্যান্য চাল  সর্বোচ্চ  ৫০ কেজির প্রতিবস্তা সর্বোচ্চ ২২৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, অসাধু মিল মালিকরা অবৈধভাবে ধান চাল মজুদ করে রেখেছেন। আমার নিজ এলাকা নওগাঁয় বন্ধ মিলগুলোতে হাজার হাজার মেট্রিক টন চাল ও ধান মজুদ রয়েছে। তারা এ টাকা পেলো কোথায়? যার বন্ধ মিল তারতো টাকা নেই। তাহলে কার টাকা। কিন্তু আপনারাতো এ তথ্য দিচ্ছে না। সে তথ্য দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেন।

তিনি বলেন, দেশে কৃষকদের কাছে দুই শতাংশ ধানও নেই। আমি নয় দিন নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট এলাকায় ঘুরেছি। বড় বড় মিলাররা কিছু পরিমাণ ধান মজুদ রেখেছেন এতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দেখা গেছে মিল বন্ধ, লাইসেন্সও নবায়ন করেনি অথচ সেসব মিলেও ধান মজুদ রেখেছে। গত দুই দিন আমি গোপন সার্ভে করে প্রায় ৫০ টি মিলের খোঁজ পেয়েছি। এসব মিলে নিম্নে ২০০ থেকে তিন হাজার মেট্টিক টন ধান মজুদ রয়েছে। এ সার্ভে যদি আরও সাত দিন করা হয় তাহলে শত শত চালকল পাওয়া যাবে সেখানে অবৈধভাবে ধান মজুদ রাখা হয়েছে। আড়ৎদাররাও ধান ও চাল মজুদ করে রাখছেন। এটা কি পরিকল্পিতভাবে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে না? যেসব মিল মালিক এ ধরনের অবৈধ মজুদ করছেন না, তারাও অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছেন না।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অবৈধ মজুদকারিদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট শুরু হয়েছে। ধান মজুদ আছে এ ধান বের করতে হবে। মিলাররা সেসব মজুদদার থেকে ধান কেনা বন্ধ করেন তাহলে অটো সে ধান বের হয়ে আসবে। ধান কতো করে কিনছেন, আর চাল কতো করে বিক্রি করছেন সেটা আজ বলে যেতে হবে। এ রকম সহযোগিতা পেলেতো তাদের কোলে তুলে নিতাম।

এদিকে, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে গত সপ্তাহে প্রতিকেজি চালে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে যায়।  যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়াই চালের বাজার হঠাৎ অস্থির হওয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এছাড়া, একই সময়ে তেলের মূল্যও বৃদ্ধি পায়। লিটার প্রতি ১০ টাকা মূল্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ বিশ্ববাজারের দোহাই দেন।

পেঁয়াজের পর চলতি মাসে চাল ও তেলসহ বেশ কয়েকটি নিতপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাজার নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এনএফ৭১/এমকে/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top