সৈয়দ শামসুল হক প্রয়াণের ৫ বছর
নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫০
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক প্রয়াণের ৫ বছর পার হলো আজ। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি মারা যান।
সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। কর্মজীবনের প্রায় সাত বছর কাটিয়েছেন লন্ডনে বিবিসি বাংলা বিভাগের সঙ্গে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে বিবিসি থেকে সংবাদ পরিবেশন করেছেন তিনি। তার লেখকজীবন প্রায় বাষট্টি বছরের। ‘দেয়ালের দেশ’ তার প্রথম উপন্যাস। লেখালেখির জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অসাধারণ সৃষ্টিশীলতার সাক্ষর রাখেন। তিনি স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি।
তার কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- একদা এক রাজ্যে (১৯৬১), বিরতিহীন উৎসব (১৯৬৯), বৈশাখে রচিত পঙ্ক্তিমালা (১৯৭০), প্রতিধ্বনিগণ (১৯৭৩), অপর পুরুষ (১৯৭৮), পরাণের গহীন ভিতর (১৯৮০), নিজস্ব বিষয় (১৯৮২), রজ্জুপথে চলেছি (১৯৮৮), বেজান শহরের জন্য কোরাস (১৯৮৯), এক আশ্চর্য সংগমের স্মৃতি (১৯৮৯) ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- তাস (১৯৫৪), শীত বিকেল (১৯৫৯), রক্তগোলাপ (১৯৬৪), আনন্দের মৃত্যু (১৯৬৭), প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান (১৯৮২), সৈয়দ শামসুল হকের প্রেমের গল্প (১৯৯০), জলেশ্বরীর গল্পগুলো (১৯৯০), শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৯০)।
উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে- এক মহিলার ছবি (১৯৫৯), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪), নীল দংশন (১৯৮১), স্মৃতিমেধ (১৯৮৬), মৃগয়ায় কালক্ষেপ (১৯৮৬), স্তব্ধতার অনুবাদ (১৯৮৭), এক যুবকের ছায়াপথ (১৯৮৭), স্বপ্ন সংক্রান্ত (১৯৮৯), বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ (১ম খণ্ড ১৯৮৯, ২য় খণ্ড ১৯৯০), বারো দিনের শিশু (১৯৮৯), বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল (১৯৮৯) ইত্যাদি।
কাব্যনাট্যেও রয়েছে সৈয়দ শামসুল হকের অনন্য অবদান। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নুরুলদীনের সারা জীবন, এখানে এখন, গণনায়ক প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য কাব্যনাট্য। বহুল উচ্চারিত ‘কোনটে বাহে জাগো সবায়’ সংলাপটি তার ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’ নাটকের।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: সৈয়দ শামসুল হক
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।