ক্ষতিকর সীসা ও কেমিক্যালের অপব্যবহার বন্ধে কাজ করছে ‘এসডো’

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট ২০২০, ২০:০৭

প্রতিকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক। নিউজফ্ল্যাশ৭১.কম

মানবদেহে জন্য ক্ষতিকর অন্যতম উপাদান সীসা। এতে আছে নিউরোটক্সিন যা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। রং, ব্যাটারি, খেলনা, পাইপ, মৃৎশিল্প, মসলার গুঁড়া (হলুদ গুঁড়া, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শরীরে এসে জমা হতে থাকে ক্ষতিকর সীসা। সীসা ও কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে কয়েক বছর ধরে কাজ করছে ‌‘এনভায়ারনমেন্টাল এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডো’।

সংস্থাটির সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার ড. শাহরিয়ার হোসাইন জানান, বাতাসের ধুলোবালির মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসে অথবা সীসাযুক্ত বিভিন্ন পণ্য (খেলনা, রং) মুখে দেওয়ার মাধ্যমে শিশুদের শরীরে সীসা ঢুকে পড়তে পারে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ; যেমন- রক্ত, মস্তিস্ক, এবং হাড়ে সীসা জমতে থাকে। যেসব বাচ্চারা সম্পূর্ণ সুস্থ তাদের শরীরেও উচ্চ মাত্রায় সীসা থাকতে পারে। সীসার মারাত্মক বিষক্রিয়ায় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- WHO এর মতে- ‘মানুষের শরীরে সীসার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই’। সীসা দূষণ সকল বয়সের জন্যই ক্ষতিকর, কিন্তু WHO-তথ্য মতে যাদের বয়স ৬ বছরের বা তার চেয়ে কম তাদের শরীরে বেশি ক্ষতি করে।

সীসা ব্যবহারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু কর্মসূচীর আয়োজন করে ‘এনভায়ারনমেন্টাল এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন- এসডো’। জনগনের মাঝে সীসার ক্ষতি দিক সম্পর্কে তুলে ধরতে গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান এসডো কর্মকর্তারা।

জুআসা

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top