এ মাসেই দুইশ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৯
চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যেই দুই শতাধিক আসনে দলের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পথে রয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের মাঠে এগিয়ে থাকতে দীর্ঘদিন ধরেই মাঠ জরিপ, সাংগঠনিক মূল্যায়ন এবং জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চালিয়ে আসছে দলটি। এসব প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ হিসেবে সারা দেশের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঢাকায় ডেকে নির্বাচনী বার্তা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলীয় সূত্র বলছে, খুব শিগগিরই প্রার্থীদের সরাসরি ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়া হবে। এমনকি বিভ্রান্তি এড়াতে কিছু আসনে একক প্রার্থীর নামও ঘোষণা করতে পারে বিএনপি। প্রার্থী ঘোষণার পরও তাদের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণে থাকবে দল। কোনো অভিযোগ উঠলে কিংবা মাঠে ব্যর্থ হলে তফসিল ঘোষণার পরও প্রার্থিতা পরিবর্তন করা হতে পারে।
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে গত দুই মাস ধরে টানা মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করছে বিএনপি। আসনভিত্তিক জনপ্রিয়তা, সংগঠন ও সমর্থকদের পছন্দ, প্রতিদ্বন্দ্বীর শক্তি—সব বিবেচনায় রাখা হয়েছে প্রার্থী নির্ধারণে। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের প্রত্যাশা, অক্টোবরের মধ্যেই দুইশ আসনে মনোনয়ন ঘোষণা শেষ করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, জাতীয় স্থায়ী কমিটির আসন্ন সভায় দুই শতাধিক আসনে মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন ঘিরে জামায়াত প্রার্থীদের মাঠে তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বিএনপিও চাইছে পিছিয়ে না থাকতে।
দলীয় নেতারা বলেন, প্রায় দেড়শ আসনে প্রার্থী নিয়ে তেমন জটিলতা নেই। তবে স্থানীয় রাজনীতির দ্বন্দ্ব বা তিন-চারজন করে মনোনয়নপ্রত্যাশীর কারণে শতাধিক আসনে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এসব আসনের নেতাদের ঢাকায় ডেকে বিরোধ মিটিয়ে ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার ও সোমবার গুলশান কার্যালয়ে তিনশ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারেক রহমান। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একক প্রার্থী ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়ে বলেন—
“যিনি ধানের শীষের প্রার্থী হবেন, তাকে শৃঙ্খলা মেনে কাজ করতে হবে। শোডাউন বা মিষ্টি বিতরণ করা যাবে না—এতে অন্যরা কষ্ট পেতে পারেন।”
তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন—
“বিএনপি ও দেশের বিরুদ্ধে বিশাল ষড়যন্ত্র চলছে। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে তার পক্ষে কাজ করতে হবে।”
দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় বলছে, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে এবার ‘ক্লিন ইমেজ, গ্রহণযোগ্যতা ও সম্ভাবনা’—এই তিন মানদণ্ডেই প্রার্থী বাছাই হচ্ছে। বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।
মনোনয়ন বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে সবুজ সংকেতপ্রাপ্তদের ব্যাপারেও সতর্ক নজর রাখছে দলটি। প্রয়োজন হলে শেষ মুহূর্তে রদবদলের সুযোগ খোলা থাকবে।
বিএনপি নেতাদের দাবি, নিজেদের ভেতরের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেই আসন্ন নির্বাচনে মাঠে নামবে ধানের শীষ। তাদের লক্ষ্য—শক্ত অবস্থানে লড়াই করে বিজয় নিশ্চিত করা।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।