শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২

নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট চায় জামায়াতসহ আট দল

স্টাফ রিপোর্টার: | প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০৩

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই জাতীয় সনদের টেকসই আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতে নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি রাজনৈতিক দল।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে এই দাবি জানায় দলগুলো। এ সময় তারা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনকৃত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) হুবহু বহাল রাখার আহ্বান জানান।

দুপুর ১টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সিইসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেন,

“জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের পর সরকার ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে ওই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য গণভোটের প্রস্তাব করেছে। আমরা আটটি দলের পক্ষ থেকে দাবি জানিয়েছি—নভেম্বর মাসের মধ্যেই সেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে, আর ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।”

তিনি আরও বলেন,

“জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা এবং ছাত্র-জনতার রক্তের স্বীকৃতি দিতে হলে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একদিনে করা যাবে না। কিছু দল এমন প্রস্তাব দিলেও আমরা আটটি দল বলেছি—আগে গণভোট, পরে নির্বাচন।”

জামায়াতের এই নেতা বলেন,

“অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমোদিত আরপিওতে কোনো কাটাছেঁড়া বা সংশোধনী আনা যাবে না। সরকার যে খসড়া অনুমোদন করেছে, সেটাকেই কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি নারী প্রার্থীদের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হচ্ছে—নোয়াখালী ও নওগাঁসহ বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে কোনো আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,

“আজ কোনো আল্টিমেটাম দিইনি। তবে কয়েক দিন পর আট দলের শীর্ষ নেতারা বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামী ৩ নভেম্বর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন,

“সিইসি আমাদের দাবি মনোযোগসহকারে শুনেছেন এবং বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। যারা জুলাই চেতনার পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকবে, তারা জনগণের কাছে নিগৃহীত হবে। গণভোট আগে না হলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।”

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন,

  • বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালউদ্দিন,

  • খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের,

  • বাংলাদেশ নেজাম ইসলামী পার্টির মহাসচিব মুসা বিন নেজার,

  • খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী,

  • জাগপার সহসভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান,

  • বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম,

  • এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top