ইসলামের লেবাস পরে সরলমনা ধর্মপ্রাণ মানুষদের বিভ্রান্ত করছে:ড. এমএ কাইয়ুম

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা-১১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ড. এমএ কাইয়ুম বলেছেন, বিএনপি গণমানুষের দল। বিএনপির অগ্রসর ভূমিকা দেখে একটি বিশেষ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রামপুরা বনশ্রী সমমনা পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কাইয়ুম বলেন, গত ১৭ বছরে দেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীল সরকারের গুম-খুন ও সন্ত্রাসের রাজত্ব চলেছিল। দেশে না ছিল আইনের শাসন, না মানবাধিকার। জনগণ একটি বৈষম্যহীন সুশাসিত রাষ্ট্র চেয়েছিল—আজ সেই প্রত্যাশা পূরণের পথে বিএনপি এগোচ্ছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কাইয়ুম আরও বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাধ্যমে “ভারতীয় দালাল হাসিনাকে” বিদায় করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি একটি বৈষম্যমুক্ত, কল্যাণকর, নিরাপদ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

ঢাকা-১১ আসন নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা এই আসনকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজ মুক্ত করে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ এলাকায় পরিণত করতে চাই। সহযোগিতা পেলে ঢাকা-১১–কে পুরো দেশের উন্নয়নের রোল মডেল করে তুলব।”

তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী সময়ে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। “ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করে আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছি। আবার যেন কোনো ফ্যাসিবাদ জন্ম নিতে না পারে—সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

একটি বিশেষ দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিএনপি মাটি ও মানুষের দল। “বিএনপির জনবান্ধব কার্যক্রম দেখে একটি গোষ্ঠী ইসলামের লেবাস পরে সরলমনা ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।”

ড. কাইয়ুম আরও বলেন, ঢাকা-১১ আসনের মানুষের নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও জনস্বার্থবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর অবস্থানে থাকবে। “জনগণের নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক অধিকার, কর্মসংস্থান ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”

এনএফ৭১/ওতু