মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২

এই ৫ অভ্যাস পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:০৬

সংগৃহীত

পুরুষদের প্রজননস্বাস্থ্য আমাদের সমাজে এখনো অনেকটাই উপেক্ষিত। বিশেষ করে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাওয়া, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অলিগোস্পার্মিয়া, অনেক পুরুষই লজ্জা বা সংকোচের কারণে আলোচনা করতে চায় না। তবে কম শুক্রাণু সংখ্যা শুধু মানসিক শান্তি নষ্ট করে না, এটি দাম্পত্য জীবন ও ভবিষ্যৎ পরিবার পরিকল্পনাকেও জটিল করে তুলতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, স্বাভাবিকের তুলনায় বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকলেই তাকে লো স্পার্ম কাউন্ট ধরা হয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, শুক্রাণু বহনকারী নালির ত্রুটি, শিল্পকারখানার রাসায়নিক পদার্থ, ভারী ধাতুর সংস্পর্শ, টিউমার, সংক্রমণ কিংবা বীর্যপাতজনিত সমস্যা—সবই দায়ী হতে পারে। এছাড়া দৈনন্দিন অভ্যাসও শুক্রাণুর সংখ্যা কমাতে পারে।

শুক্রাণু কমে যাওয়ার লক্ষণ:

যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া, ইরেকশন ধরে রাখতে সমস্যা, অণ্ডকোষে ব্যথা বা ফোলা, শরীরে লোম কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। ফলে সন্তান ধারণে সমস্যা ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।

শুক্রাণু কমানোর ৫টি সাধারণ অভ্যাস:

১. মাদক সেবন – অ্যানাবলিক স্টেরয়েড, কোকেন বা গাঁজা শুক্রাণুর সংখ্যা ও মান কমায়।

২. নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ – টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে শুক্রাণু উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।

৩. ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য – শুক্রাণুর সংখ্যা ও ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে।

৪. অতিরিক্ত মানসিক চাপ – হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, শুক্রাণু উৎপাদন ব্যাহত করে।

৫. অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা – হরমোনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে, শুক্রাণুর মান ও সংখ্যা কমায়।

চিকিৎসকরা মনে করেন, সচেতন জীবনযাপন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং মানসিক সুস্থতা পুরুষদের প্রজননস্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই ভবিষ্যতের সুস্থ পরিবার গঠনের মূল চাবিকাঠি।

সূত্র: দ্য হেলথ সাইট

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top