ব্যস্ত জীবনে ফ্রোজেন খাবারের ঝুঁকি: পুষ্টিবিদদের সতর্কতা
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১৫
আজকাল ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে অনেকেই ফ্রোজেন খাবারের ওপর ভরসা করছেন। রান্নার ঝামেলা কম এবং সংরক্ষণ সহজ—এই সুবিধার কারণে ফ্রিজ ভর্তি থাকে নানা প্রক্রিয়াজাত খাবারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব ফ্রোজেন খাবার একরকম নিরাপদ নয়। নিয়মিত কিছু ফ্রোজেন খাবার খেলে ধীরে ধীরে শরীরের ক্ষতি হতে পারে এবং নানা রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেরই প্রতিদিন ঘরে রান্না করা সম্ভব হয় না। তাই ঘরে বানানো খাবার কিংবা বাইরে থেকে কেনা প্রক্রিয়াজাত খাবার ফ্রিজে রেখে পরে খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত ফ্রোজেন খাবারে লবণ, চিনি ও অস্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো নিয়মিত খেলে হৃদরোগসহ দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
কোন কোন ফ্রোজেন খাবার বেশি ক্ষতিকর:
ফ্রোজেন মাংস: বেকন, সসেজ ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ বেশি থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ফ্রোজেন আলুর ফ্রাই ও নাগেটস: এগুলো আগে থেকেই ভাজা থাকে, অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও লবণ বেশি, পুষ্টিগুণ কম। বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধি ও হৃদরোগের সম্ভাবনা থাকে।
ফ্রোজেন পিৎজা ও ফাস্ট ফুড: পরিশোধিত ময়দার বেস, প্রক্রিয়াজাত পনির ও চর্বিযুক্ত টপিং থাকে। নিয়মিত খেলে ওজন বৃদ্ধি, বিপাকীয় সমস্যা ও উচ্চ ক্যালোরি গ্রহণের ঝুঁকি থাকে।
ফ্রোজেন মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার: আইসক্রিম ও অন্যান্য মিষ্টিতে চিনি ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি। নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে ডায়াবেটিস ও বিপাকজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত নির্ভরতা ও সতর্কতা:
পরিমিত পরিমাণে ফ্রোজেন খাবার খাওয়া সমস্যা নয়। তবে নিয়মিতভাবে এগুলো স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প হয়ে গেলে পুষ্টির ঘাটতি, ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং হজমজনিত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ফ্রোজেন খাবার খাওয়ার সময় লেবেল ভালোভাবে দেখা, কম লবণ ও কম চর্বিযুক্ত বিকল্প বেছে নেওয়া এবং সম্ভব হলে ঘরে রান্না করা খাবার অগ্রাধিকার দেওয়া সবচেয়ে নিরাপদ।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।