শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

অজানা গভীরে শিশু সাজিদ

মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রার্থনায় দেশবাসী এই নির্মম অবহেলার দায় কার?

মুঃ শামিউল বাশার (শ্যামল) | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১

গ্রাফিক্স | নিউজফ্ল্যাশ সেভেন্টিওয়ান

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় গভীর নলকূপের পাইপ লাইনের ভেতর পড়ে দুই বছর বয়সী শিশু সাজিদ হোসেন আটকে যাওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে নেমে এসেছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। গতকাল দুপুর থেকে প্রায় ৩৫ ফুট গভীরে আটকে থাকা শিশুটির অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পুরো দেশ।

বিভিন্ন সূত্র ও গণমাধ্যমে গর্তটির গভীরতা ৩৫ ফুট বলা হলেও স্থানীয়দের ধারণা, বাস্তবে এর গভীরতা আরও বেশি হতে পারে। অন্ধকার ও সংকীর্ণ পাইপ লাইনের ভেতরে ছোট্ট সাজিদ কী অবস্থায় আছে জীবিত নাকি মৃত তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় রয়েছে পরিবারসহ দেশবাসী। 

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই শিশুটির মা-বাবা ও স্বজনরা এক অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর আগে ওই স্থানে একটি গভীর নলকূপ খনন করা হয়। তবে পানি না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রেখে গর্তটি অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। প্রায় ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ওই গভীর গর্তটি কেন দীর্ঘদিন নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ছিল তা নিয়ে উঠেছে গুরুতর প্রশ্ন।

এমন অবহেলার দায় কার? নলকূপের গর্তটি কি সঠিকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতাই কি আজ একটি শিশুর জীবনকে চরম ঝুঁকিতে ফেলেছেএই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।

ঘটনার পর উদ্ধারকারী দল দ্রুত খননকাজ শুরু করলেও গর্তের ভেতরে মাটি ধসে পড়ায় শিশুটির শারীরিক অবস্থা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। উদ্ধার কাজ চলছে, তবে সময় যত গড়াচ্ছে উৎকণ্ঠাও তত বাড়ছে।

আজ পুরো দেশ একটাই প্রার্থনায় একত্রিত সৃষ্টিকর্তা যেন ছোট্ট সাজিদকে সুস্থ অবস্থায় তার মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেন। একই সঙ্গে এই মর্মান্তিক ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যেন এমন অবহেলায় আর কোনো শিশুর জীবন বিপন্ন না হয়, সে নিশ্চয়তা দাবি করছেন সচেতন নাগরিকরা।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top