নেপালের পর এবার ভারতেও শিক্ষকদের নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৪৩

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ডমিনো ইফেক্টের ছাপ স্পষ্ট। নেপালে যখন জেনারেশন জেড তরুণরা বিক্ষোভে রাজপথ প্রকম্পিত করেছিল, ঠিক সেই সময় প্রতিবেশী ভারতেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বিহার রাজ্যে হাজার হাজার চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষকের শূন্যপদ কমানোর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। রাজধানী পাটনার প্রধান সড়কগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হলো চতুর্থ দফা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টিআরই-৪)। চাকরিপ্রত্যাশীরা অভিযোগ করেছেন, সরকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শূন্যপদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে প্রায় তিন হাজার তরুণ পাটনা কলেজ প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের বাসভবনের দিকে মিছিল শুরু করেন। কেতন মার্কেট, বকরগঞ্জ, গান্ধী ময়দান হয়ে ডাকবাংলো স্কয়ার পর্যন্ত মিছিল ছড়িয়ে পড়লে শহরের বেশিরভাগ অংশ অচল হয়ে যায়।
প্রত্যাশীদের দাবি:
সরকারের পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা উচিত ছিল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী সুনীল কুমার ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা দেন, এবার নিয়োগ দেওয়া হবে মাত্র ২৬ হাজারের কিছু বেশি পদে। দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নেওয়া চাকরিপ্রত্যাশীরা এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
ছাত্রনেতা দিলীপ কুমার বলেন, “যখন ডোমিসাইল নীতি কার্যকর হয়নি, তখন সরকার কখনো ৫০ হাজার, কখনো ৮০ হাজার, আবার কখনো ১ লাখ ২০ হাজার শূন্যপদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু নিয়ম চালু হওয়ার পর সেই সংখ্যা কমিয়ে ২৭ হাজার ৯১০ করা হয়েছে। এটি বিহারের তরুণদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”
তাদের অভিযোগ, আগে বাইরের রাজ্যের প্রার্থীদের টানতে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি শূন্যপদের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল। এখন স্থানীয়দের সুযোগ রাখতে পদ সংখ্যা অযৌক্তিকভাবে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা তরুণদের মধ্যে হতাশা ও আস্থাহীনতা তৈরি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী বহুবার প্রকাশ্যে ১ লাখ ২০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ তা পূরণ হয়নি। শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পূর্ণ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করা হলে আন্দোলন আরও বড় হবে।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুটি রাজনৈতিকভাবে আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: ফ্রি প্রেস জার্নাল
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।