কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৫০০ ঘর পুড়ে ছাই
স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১,৫০০ ঘর-বাড়ি পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। মঙ্গলবার রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের টানা চেষ্টায় পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
তাজুল ইসলাম বলেন,
“বস্তিতে বিভিন্নভাবে কথা বলে জানতে পেরেছি আনুমানিক ১৫০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তদন্তের পর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।”
তিনি আরও জানান, “আগুন লাগার ৩৫ মিনিট পর তিনটি স্টেশনের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিকেলের দিকে তীব্র যানজট ছিল এবং সরু রাস্তার কারণে বড় গাড়িগুলো ভিতরে ঢুকতে পারেনি। ফলে দূর থেকে পাইপ টেনে কাজ করতে হয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক জানান,
“যত্রতত্র বিদ্যুতের তার এবং প্রায় প্রতিটি ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। আগুনের সোর্স তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না।”
তিনি বলেন,
“প্রতি বছর কড়াইল বস্তিতে মহড়া করা হয়। কয়েকদিন আগেই মহড়া শেষ হয়েছে। এজন্য আগুন দ্রুত নেভানো গেছে; নাহলে আরও দুই-তিন ঘণ্টা বেশি সময় লাগতো।”
আগুন নেভাতে পানির সংকট হয়নি বলে তিনি জানান—
“ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা ও ড্রেনের পানি ব্যবহার করা হয়েছে।”
কড়াইল বস্তির আগুনে বহু পরিবার গৃহহীন হওয়ায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন—
“ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।”
সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার এবং অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বস্তির অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অন্যদিকে, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না—তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।