রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১

তুরস্ক ও গ্রিসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২৬

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২০, ০২:১৪

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
তুরস্ক ও গ্রিসে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে সবশেষ পাওয়া খবরে ২৬ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের কারণে উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঢেউ। এতে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে অনেকে এটিকে ছোট আকারের সুনামি হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন।

শুক্রবারের (৩০ অক্টোবর)এই ভূমিকম্পে এজিয়ান সাগরের উপকূলে তুরস্কের ইজমির প্রদেশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম।

এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে, তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্। এতে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪২৯ জন।

এদিকে, তুরস্কের পার্শ্ববর্তী দেশ গ্রিসের স্যামোস অঞ্চলেও আঘাত হানে ভূমিকম্প । যদিও দেশটি তুরস্কের মতো অতটা ক্ষতি হয়নি। গ্রিসের স্যামোস দ্বীপে অল্পবয়সী দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মৃতদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন হচ্ছে।

তুরস্ক জানিয়েছে, ১৭টি বিধ্বস্ত ভবনে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, পানির তোড়ে রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভেসে যাচ্ছে। এমনকি গাড়িও ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে।

স্যামোস দ্বীপে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষের বাস। তাদের সমুদ্র উপকূল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইজমিরের মেয়রের বরাত দিয়ে সিএনএনের খবরে বলা হয়, ভূমিকম্পে অন্তত ২০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জিওলোজিক্যাল সার্ভে (ইউজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল তুরস্কের ইজমির প্রদেশ। এটি গ্রিসের এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও অনুভূত হয়। এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছেন, গ্রিসের যদি কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে তুরস্ক প্রস্তুত।
তুরস্ক একটি অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ১৯৯৯ সালের আগস্টে সেখানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ইজমিত শহরে ১৭ হাজার মানুষ মারা যায়। ২০১১ সালের ভূমিকম্পে ভ্যান শহরে মারা যায় কমপক্ষে ৫০০ মানুষ।

এনএফ৭১/এমকে/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top