জার্মানির হ্যানোভার শহরে গরম পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২২, ০২:২০

জার্মানির হ্যানোভার শহরে গরম পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের কারণে গরম পানিতে গোসলের ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে জার্মানির হ্যানোভার শহর কৃর্তপক্ষ। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে অভিনব এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নগরীর সব সরকারি ভবনে।

সম্প্রতি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া সরকার। রাশিয়া থেকে ১৫ শতাংশ কম গ্যাস নিতে রাজি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। যার প্রভাব এসে পড়েছে জার্মানির ওপর। জার্মান সরকার তাই জনগণকে বলে দিয়েছে, এখন থেকে তারা কম গ্যাস পাবে এবং একইসঙ্গে বিদ্যুতের জন্য বাড়তি বিল পরিশোধ করতে হবে তাদের।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাশিয়া টুডে জানায়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় জার্মানির হ্যানোভার শহরের নগর কর্তৃপক্ষ আবাসিক ভবনগুলোতে গরম পানি বন্ধ করে দিয়েছে । ঘর গরম রাখার সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমিয়ে আনা হয়েছে। স্থানীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সরকারি ভবনগুলোতে নগরবাসীকে হাত-মুখ ধোঁয়ার জন্য আর গরম পানি সরবরাহ করা হবে না। এছাড়া সুইমিং পুল, অডিটোরিয়াম এবং জিমগুলোতে ঠান্ডা পানিতেই গোসল সারতে হবে তাদের।

হ্যানোভার সিটি মেয়র বেলিট ওনাই বলেন, আসন্ন গ্যাস সংকট বড় শহরগুলোকে উল্লেখযোগ্য এক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সংকট মোকাবিলায় আমাদের এখন লক্ষ্য হচ্ছে বিদ্যুতের ব্যবহার অন্তত ১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা। কারণ আমাদের এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

এর আগে হ্যানোভার নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, স্পোর্টস হল, জিম ও পুলসহ আবাসিক ভবনে গরম পানি সরবরাহ বন্ধ করা হবে। এমনকি নতুন নিয়মের অধীনে সরকারি কর্মকর্তাদেরও কাজের সময় ঠান্ডা পানিতে হাত ধুতে হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দেশটির উচ্চ পর্যায় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ভোক্তাদের সামনে গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আশাতীত পরিমাণ অতিরিক্ত কর দিতে হবে। যেন আসন্ন দিনগুলোতে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো দেউলিয়া হয়ে না যায়।

জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক বলেন, নভেম্বরে গ্যাসের মূল্য কেমন দাঁড়াবে তা আমরা এখনই বলতে পারছি না। তবে, করুণ সত্য হচ্ছে গৃহপ্রতি তা কয়েকশো ইউরো পর্যন্ত গিয়ে ঠেকতে পারে।

রবার্ট হ্যাবেক বলেন, জ্বালানি সরবরাহের জন্য রাশিয়ার ওপর জার্মানির অতিরিক্ত নির্ভরতার কারণে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে নির্ভরতা বেড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই নির্ভরতা হ্রাস করতে আমরা চেষ্টা করবো। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) তিনি দেশটির বিভিন্ন কোম্পানি পরিদর্শনের সময় এ কথা বলেন।

সূত্র: রাশিয়া টুডে, দ্য ব্রাসেলস টাইমস

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top