ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ২০
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২, ০৫:০৪
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার মাত্রার ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের পরপর আঘাত হানে সুনামি। তখন ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারসহ ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ভূমিকম্পে আঘাতে ২০ নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১টা ২০মিনিটের দিকে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে জাভা দ্বীপ।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, সোমবার রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে আরও কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া এই প্রদেশের শত শত বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা হারমান সুহারম্যান দেশটির সংবাদমাধ্যম মেট্রো টিভিকে বলেন, পশ্চিম জাভার সিয়াঞ্জুর শহর এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া আকস্মিক এই কম্পনে আরও ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া, জলবায়ু ও ভূপদার্থবিজ্ঞান সংস্থা (বিকেএমজি) বলেছে, সোমবার জাভায় যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তাতে সুনামির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে ভূমিকম্প পরবর্তী আফটারশক অনুভূত হতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থাটি।
তিনি আরও বলেন: জাভা দ্বীপের বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে এসে দাঁড়িয়েছেন।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ ঘটে। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয় জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশেই এ কারণে ঝুকিপূর্ণ।
বিষয়: ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্প সুনামি আবহাওয়া
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।