কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৩

রাহুল গান্ধী

‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে দুই বছর কারাদণ্ড পাওয়া রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় সংবিধানের ১০২ (১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। ওই আইন বলছে, সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়া রাহুল অন্তত আগামী ছয় বছর কোনো ভোটে লড়তে পারবেন না।

এরআগে, শুক্রবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য লোকসভায় যান রাহুল গান্ধী। এ সময় লোকসভার অধিবেশনে ব্যাপক হট্টগোল হয়। বিক্ষোভ-প্রতিবাদের জেরে দুপুর পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এরপর রাহুল চলে যান।

এদিকে, রাহুলকে লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণার পর জরুরি বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। এই বৈঠকে কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটি, সব রাজ্যের কংগ্রেসের সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন মতে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী স্লোগান তোলেন, 'চৌকিদার চোর হ্যায়'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানাতেই এ স্লোগান তোলেন তিনি।

প্রচারণার ধারাবাহিকতায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেন, 'সব মোদিরা কেন চোর হয়?' এ কথার মাধ্যমে তিনি মূলত নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নীরব মোদি নামে ভারতের বহুল আলোচিত এক প্রতারককে বোঝাতে ওই মন্তব্য করেন।

তবে এতে 'মোদি' পদবির সবার অপমান হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ মর্মে গুজরাটের সুরাটের আদালতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলার রায়ই বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দিয়েছেন আদালত।

রায়দানের সময় আদালতেই উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী। আদালত দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ শুনিয়েছেন রাহুল গান্ধীকে। তবে কারাদণ্ডের নির্দেশের পরপরই আদালত থেকে ৩০ দিনের জামিন পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। আপিল করার সুযোগও দেয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার নরেন্দ্র মোদী সরকারে বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে অন্য বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলনের পথে নেমেছে কংগ্রেস। এদিন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ১২টি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাম, জেডি(ইউ), ডিএমকের পাশাপাশি বৈঠকে ছিল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)-ও। এর পরে সংসদ ভবন থেকে মিছিল করে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান তারা।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top