বেলারুশে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন: পুতিন
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৩, ২২:৫৮
মিত্রদেশ বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম ব্যাচ স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার ভূমিতে হামলা হলে বা রুশ রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়লেই কেবল এ অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৬ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে বক্তব্যে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনার আভাস মেলেনি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টানি ব্লিনকেন বলেন, ‘রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে এমন কোনো আলামত দেখছি না আমরা।’
প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, এই গ্রীষ্মের শেষ নাগাদ বেলারুশে পরমাণু অস্ত্রের পূর্ণাঙ্গ বহর স্থানান্তর সম্পন্ন হবে। সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক ফোরামের প্রশ্নোত্তর পর্বে পুতিন এমনটি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘রসদ প্রস্তুত রাখার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং কৌশলগতভাবে কেউ আমাদের পরাজিত করার কথা ভেবে থাকলে তাদের জন্যও এটি সতর্ক সংকেত।’
পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে পুতিন বলেন, ‘কেন আমরা গোটা বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলতে যাব? আমি আগেই বলেছি, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব বিপজ্জনক অবস্থায় পড়লেই কেবল এ অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।’
বেলারুশে যে পরমাণু অস্ত্র নিচ্ছে রাশিয়া, এটি ব্যাপকমাত্রায় রেডিওঅ্যাক্টিভিটি ছাড়াই স্বল্পপাল্লার শত্রুর অবস্থানে আক্রমণ করতে সক্ষম। ছোট অস্ত্রটি এক কিলোটনের হয়ে থাকে যেটি এক হাজার টন টিএনটি বিস্ফোরকের সমান কাজ করে। সবচেয়ে বড়টি একশ কিলোটন বিস্ফোরকের সমান। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্র যে পরমাণু বোমাটি ফেলেছিল তা ১৫ কিলোটন ছিল।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, ‘পুতিন (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) কিয়েভে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ালেন। আর এটি ঘটল যখন কি না রাজধানী শহরে আফ্রিকা মহাদেশের নেতারা সফর করছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতে বৈশ্বিক জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের মূল্যের অস্থিরতায় আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো ব্যাপকভাবে ভুগছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।