কেবল বাংলাদেশ নয়, এবার বিভিন্ন দেশের ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধ আরোপ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশের মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। খবর: রয়টার্স’র

সোমবার মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চীন, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড ও জামার্নির কোম্পানিসহ মোট ২৮টি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। মন্ত্রণালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি সম্পর্কিত নীতিমালা দেখাশোনা করে। রাশিয়ার ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত (ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার হয়) খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করায় ১১টি চীনা ও পাঁচটি রুশ কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রয়টার্স এবং রাশিয়ার মিডিয়া আউটলেট আইস্টোরিজ লন্ডনের প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় গত বছর একটি তদন্ত শুরু করেছিল। তারা সারা বিশ্বে অরলান ড্রোনের উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে। সবার শেষে তারা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত স্পেশাল টেকনোলজি সেন্টারের তথ্য নেয়।

তদন্তে দেখা গেছে, হংকং-ভিত্তিক রফতানিকারক এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড রাশিয়ার ড্রোন সরবরাহকারীদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি সংস্থা এসএমটি আইলজিকের সঙ্গে ফার্মটি মে মাসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল।

এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান অ্যালান এস্তেভেজ বলেছেন, যারা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধে সরঞ্জাম সরবরাহ ও সমর্থন করবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও অর্থপূর্ণ ব্যবস্থা নিতে আমরা কোনো দ্বিধা করব না।

গত সপ্তাহে তেহরানের ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। এর আগে ইরানের কাছে ড্রোন তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ বিক্রি ও সরবরাহের অভিযোগে চীনভিত্তিক পাঁচ প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ওই সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ইরানের এয়ারক্রাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চালান ও লেনদেনে সহায়তা করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণের প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের টেরোরিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান যেভাবে ড্রোন নির্মাণের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে রাশিয়া, তাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশ এবং অন্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীরা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করতে পারে। ইরানের এ ধরনের ড্রোন তৈরির তৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top